রাসায়নিকসহ সিমেন্টের মিশ্রণ ব্যবহার করে মাটিতে গ্রাউটিংয়ের কাজ চলছে জোরকদমে। তবে মাটি শক্ত করা গেলেও মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা বাড়ি কবে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগে নিয়েছে মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা KMRCL।
সোমবার থেকে মদন দত্ত লেনের পাশে দুর্গা পিতুরী লেনে অবস্থিত কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র অফিস থেকে ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলি করা শুরু হল। শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারাই নন, ক্ষতিপূরণ পাবেন মদন দত্ত লেন, বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিট সংলগ্ন অংশের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরাও। এই ফর্ম জমা করার পরে পুর প্রতিনিধি, পুর আধিকারিক এবং স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের তরফে ভেরিফিকেশনের পরেই সেই ফর্ম পৌঁছে যাবে KMRCL এর কাছে। ১০০ স্কোয়ার ফিট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তিগুলির মালিকানা থাকা ব্যবসায়ীরা পাবেন, ১.৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। এছাড়া অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির ক্ষেত্রে দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ।
advertisement
আরও পড়ুন: 'সব অভিযোগ মিথ্যা', তথ্য সামনে এনে বউবাজার নিয়ে KMRCL-এর পাল্টা বিস্ফোরক দাবি
যদিও অনেক ব্যবসায়ী দাবি করছেন তাদের পুরনো ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে জায়গার পরিমাণ ১০০ স্কোয়ার ফিটের কম ঘোষিত থাকলেও পরবর্তীতে তারা যেভাবে ব্যবসার পরিসর বাড়িয়েছেন, তা অনেক ক্ষেত্রেই কাগজে নথিভুক্ত নেই। যদিও কাউন্সিলরের তরফে কলকাতা পুলিশের মাধ্যমে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকারের তরফে ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিতে বলা হলেও KMRCL-এর তরফে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের সময়সীমা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক 'অস্ত্রেই' বাজিমাত, পঞ্চায়েতে সাফল্য পেতে বঙ্গ বিজেপি-কে বিশেষ দাওয়াই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
তবে ক্ষতিপূরণ ঘোষণার পরেও সন্তুষ্ট নন বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। মাথার উপরের ছাদ হারিয়ে কত দিন তারা এই অনিশ্চিত জীবনযাপন করবেন জানেন না তারা। ৫ লক্ষ টাকায় শহরে পুনর্বাসন যে একেবারেই সম্ভব নয়, সে কথা তারা বারংবার বলছেন। কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, তাদের জন্য জানেন না তারা।