সিবিআই সূত্রে খবর, বগুটুই অগ্নিসংযোগকান্ডে চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য, সিবিআই চার্জাশিটে উল্লেখ, বগুটুইতে সোনা সেখের যে বাড়ি থেকে সাত জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল, গত ২১ মার্চ ঘটনার সময় তাঁদের মধ্যে একজন রুপালি বিবি ফোন করেছিলেন থানায়। ২৩ সেকেন্ড কথা হয় রামপুরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর রমেশ সাহার সঙ্গে । এরপরও পুলিশ আসেনি।এমনকি তারপর আবার থানায় ফোন করলেও ধরেনি পুলিশ অধিকারিকরা। ঘটনার 50 মিনিট পর পুলিশ যায়, উল্লেখ সিবিআইয়ের চার্জশিটে। যার পরিণতিতে ঘর বন্দী জীবিত অবস্থায় আগুনে পুড়ে ৭ জনের প্রাণ যায় । ২১ মার্চ ঘটনার সময় সোনা সেখের বাড়ি থেকে রাত ৯ টা থেকে ৯.৫০ মিনিট পর্যন্ত একাধিক বার পুলিশকে ও আত্মীয় স্বজনকে ফোন করে বাঁচার জন্য। কিন্তু পুলিশের সাড়া মেলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছিল স্বামী, এবার ফল মিলল হাতেনাতে! উচিৎ শিক্ষা...
সিবিআই বগুটুই অগ্নি সংযোগ কাণ্ডে সোমবার চার্জেশিট পেশ করে রামপুরহাট আদালতে। সেই ১১৯৩ পাতার বিস্তারিত চার্জাশিটে ঘটনার দিন স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা কি ছিল তা জানানো হয়েছে। ২১ মার্চ ঘটনার পর গ্রাম বাসীরা বার বার অভিযোগ করেন, গ্রামে যখন বোমা ছোড়া হয়েছিল, পর পর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল তখন পুলিশের দেখা মেলেনি। আর এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেই তদন্ত ভার হাতে নিয়ে তদন্ত শেষ করেছে সেখানে মিলেছে তার প্রেক্ষিতে অকাটত্য প্রমাণ।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে নিজেকেও জ্বালিয়ে দিল জামাই! কাটোয়ায় এ কী হাড়হিম ঘটনা
সিবিআইয়ের চার্জশিটে তার উল্লেখ রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হয়। ওই দিন কর্তব্যরত পুলিশের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে ঘটনার রাতে বগুটুই থেকে পুলিশকে ফোন করার কথা স্বীকার করেছে। তবে কেন প্রায় পৌনে এক ঘন্টা দেরি হলো পুলিশের যেতে বগুটুই গ্রামে তার সদুত্তর মেলেনি। সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জাশিটে তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, দাবি ওয়াকিবহলমহলের।