২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে বাংলার সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির মোট রক্ত সংগ্রহ ছিল ৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭০২ ইউনিট। চলতি বছর, মার্চ পর্যন্ত যা হতে চলেছে প্রায় ৯ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭০৬ ইউনিট। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর. অনুযায়ী, কোভিডের জন্য দু' তিন বছর বাংলার রক্তসংগ্রহ প্রচণ্ড পরিমাণে কমে গিয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবর্ষ বাদে ২০১৮-২৩, পাঁচ বছরের বাকি বছরগুলিতে রক্ত সংগ্রহ বেড়েছে। ৮৭টি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে রেকর্ড পরিমাণ ৯ লক্ষাধিক ইউনিট রক্তসংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রস্তুতি বৈঠক নবান্নে, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জেনে নিন
রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের এক প্রাক্তন সদস্য বলেন, ‘‘এখনও বহু ব্লাড ব্যাঙ্কে, রক্তদাতা নিয়ে গেলে তবেই রক্ত দেওয়া হচ্ছে। রাতবিরেতে রক্ত পেতে গিয়ে নাকালের একশেষ হতে হচ্ছে। কাজেই আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় বাস্তবটা অন্যরকম। করোনার দু'টি বছর বাদ দিলে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের সংখ্যা বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা এই পাঁচ বছরে বেড়েছে ২৫৩৮ ( এ বছর মার্চের ফল না আসায় সম্ভাব্য )।
আরও পড়ুন- ভারত যেন ‘ডায়াবেটিসের রাজধানী’! সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অপরিহার্য এই তিন ভেষজের পাতা
আরও একটি সুখবর হল, গত পাঁচবছরে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের হার ৬৯ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন নব্বইয়ের ঘরে (৯৪) পৌঁছেছে। যদিও শিবির বৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়েও সন্দিহান রক্তদান আন্দোলনের কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, রক্ত দিয়ে তবে রক্ত পাওয়া গেলে সেই দানকে এক্সচেঞ্জ ডোনেশন বলা হয়। বিপাকে পড়ে এক্সচেঞ্জ ডোনেশনের হিসেবও পরিসংখ্যানে ধরছে স্বাস্থ্য ভবন। রক্ত নিরাপত্তার শাখার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমরা ইনহাউস বা ব্লাড ব্যাঙ্কের মধ্যে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের হিসেব ধরেছি। এক্সচেঞ্জ ডোনেশন নয়।’’