তৃণমুল কংগ্রেস বারংবার অভিযোগ করেছেন ডিভিসির জল ছাড়ার জন্যই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বানভাসি অবস্থা। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন “আপনার এই যে জঙ্গলের কাঠ লুঠ হচ্ছে, এটা কি কোনও ভুটানি এসে কেটে নিয়ে গেছে ? নদীর..বালি কারা তুলছে ? ভুটানিরা তুলছে? না ডিভিসি তুলছে? গোটা উত্তরবঙ্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে লুঠেরাদের সরকার। দক্ষিণবঙ্গের কিছু অসাধু আমলা, কিছু নেতা, তারা গোটা ডুয়ার্স কিনে ফেলেছে। তৃণমূলের অপকর্মের জন্যই এই অবস্থা রাজ্যের।”
advertisement
শমীক ভট্টাচার্য জানান, “উত্তরবঙ্গ শুধু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার নয়, দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক অবহেলারও শিকার। আমাদের লক্ষ্য, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য পর্যায়ে পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছানো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।” শমীক আরও জানান, “নদী থেকে অবৈধভাবে বালি ও পাথর উত্তোলনের ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বনাঞ্চল কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। বিগত ১৪ বছর ধরে উত্তরবঙ্গ লুট হওয়া বন্ধ হচ্ছে না। এ কারণে এই বিপর্যয় কেবল প্রাকৃতিক নয়, মানবসৃষ্টও।”
বিপর্যয়ের আবহে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, “এই সরকারের কাছ থেকে মানবিক মুখ আশা করা একেবারে মূর্খামি।” তিনি রাজ্য প্রশাসনকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “প্রতিহিংসা আর অযোগ্যতায় ভরা এমন প্রশাসন কোনও রাজ্যে আগে দেখা যায়নি।”
শমীক ভট্টাচার্যের মূল অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের মানুষের চোখের জল মোছার কোনও সদিচ্ছা এই সরকারের নেই। কাঠ পাচার ও বালি চুরি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেন শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপি রাজ্য সভাপতি শুধু ত্রাণ নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেননি, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য রাজ্যের ‘অদক্ষতাকে’ দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন ,”ভুটানের দিক থেকে মানুষ এসে ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে নিয়ে গিয়েছে। নদী থেকে বালি তোলা হয়েছে- এই সবটাই রাজ্যের অদক্ষতার ফল। তাঁর মতে, রাজ্য সরকার পাহাড়ের প্রকৃতির ধ্বংস ডেকে এনেছে এবং এখন হাত গুটিয়ে বসে আছে।”
দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “প্রকৃতির ওপরে কারও হাত নেই, কিন্তু বিপর্যয়ের পরে রাজ্য সরকার কী করেছে? উদ্ধারকার্যে যা কিছু হচ্ছে, সবই তো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তত্ত্বাবধানে। আমাদের সাংসদ-বিধায়করা শনিবার রাত থেকেই এলাকায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছেন।”