আরও পড়ুন: আচমকা সিদ্ধান্ত বদল! কেন হঠাৎ ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়?
অভিযোগ, আলিপুর চিড়িয়াখানা চত্বর এবং শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস ঘরে যত বিজেপি-র পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার ছিল সব ছিঁড়ে ফেলে সেই জায়গায় তৃণমূলের পতাকা ফেস্টুন ব্যানার লাগানো হয়েছে। এই ঘটনার জেরেই বিজেপির এবং তৃণমূলের ঠিকা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। শেষমেশ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, আলিপুর চিড়িয়াখানা চত্বরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, রাকেশ সিং রাতের অন্ধকারে ইউনিয়ন রুমের অফিস দখল করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোয় বিশ বাঁও জলে চিনা রেকের ভবিষ্যত !
অন্যদিকে, রবিবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে ইঁট বৃষ্টি, চলে গুলি, ভাটপাড়ায় TMC বনাম BJP তুলকালাম হয়। নেতাজির জন্মদিনে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করাকে কেন্দ্র করে ঘটে এই উত্তজেনা। প্রথমে পবন সিংকে ধাক্কাধাক্কি, তারপর অর্জুন সিং আসতেই আরও বাড়ে উত্তেজনা। বিজেপি সাংসদকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিংহ নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদানের সময় তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের বচসা বেধে যায়। মুহূর্তে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে। বিজেপি-র অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মাল্যদানের অনুষ্ঠানে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সাংসদই তাদের উপর চড়াও হন। অর্জুন সিংহকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও হয়েছে বলে অভিযোগ।
পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষীরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালিয়েছেন। অর্জুন সিংহের অভিযোগ, তৃণমূল ভাটপাড়াকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে, গুন্ডামি চালাচ্ছে।ভাটপাড়ায় সংঘর্ষের পর নেতাজি মূর্তিতে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানকে কেন্দ্র করে রবিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়া। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও অর্জুন সিংয়ের দাবি, 'নেতাজি তৃণমূল কর্মী বলে আমার জানা নেই। তাঁকে সম্মান জানানোর অধিকার সবার আছে। এলাকায় রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করতে পেরে তৃণমূল গায়ে পড়ে অশান্তি করছে। রবিবারের অশান্তি পাকানোর মূলে শাসক দল দায়ী'।
