মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিদায়ী জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যকেও রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হল। গত রবিবারই বিজেপির এ রাজ্যের একাধিক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে সরিয়ে নতুন সভাপতি নাম ঘোষণা করা হয়। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে লোকসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা পুনর্বিন্যাস করে বিজেপির ৪৩ টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বেশ কিছু জেলার জেলা সভাপতি বদল করা হয়। নতুন মুখ হিসেবে সামনে আনা হয় ১৫ জনকে।
advertisement
বিজেপি রাজ্য কমিটির তরফে তালিকা সামনে আসার পর পরই দলীয় কর্মী সমর্থকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নতুন সভাপতিদের অনেককে নিয়ে বিজেপির দলের অন্দরেই নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয় মঙ্গলবার। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি ছিলেন প্রদ্যুৎ বৈদ্য। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে নতুন জেলা সভাপতি করা হয় নবেন্দু সুন্দর নস্করকে। আর তা নিয়ে মঙ্গলবার বিজেপির সল্টলেক কার্যালয়ে ঘটে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড।
আরও পড়ুন – Weather Update: বাংলাদেশের ওপর ঘূর্ণাবর্ত! বাংলার ভাগ্যে আবহাওয়ার নয়া চমক, ঝড়-বৃষ্টির তাজা আপডেট
বিজেপির বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন , ‘ নবেন্দু সুন্দর নস্কর পঞ্চায়েত ভোটের দলের টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দল কিভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে সেই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাকেই মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করে দিল? বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অবিলম্বে সভাপতি বদল করা না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি শিবিরের একাংশ। এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় বঙ্গ পদ্ম শিবির। আর এই বিক্ষোভের পরপরই মঙ্গলবার রাতেই বৈঠকে বসে বিজেপি রাজ্য কমিটি।
সেখানেই যে সমস্ত সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বদল ঘটিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে সেই সমস্ত বিদায়ী জেলা সভাপতিদের রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দক্ষিণ কলকাতা, ব্যারাকপুর, আসানসোল, কাঁথি সহ একাধিক বিদায়ী জেলা সভাপতিদের নাম দেখা যাচ্ছে নতুন রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে,’ মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মতো নতুন করে যাতে আর কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভের আগুন না জ্বলে তা ঠেকাতেই তড়িঘড়ি মথুরাপুর সহ বিদায়ী জেলা সভাপতিদের অন্তর্ভুক্ত করা হল রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে’।
Venkateshwar Lahiri