এবিষয়ে এদিনের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘প্রতি পদে পদে শাসকদল এবং সরকার আদিবাসীদের অপমান করছে। তপনের দণ্ডি-কাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ বা প্রশাসন এখনও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইব।’’
advertisement
উত্তরবঙ্গের তপন বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডুর উপস্থিতিতে বিজেপির জেলা মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে গোফানগর অঞ্চলের প্রায় ২০০ জন মহিলা এবং তাঁদের পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন শনকইর গ্রামের বাসিন্দা মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মারডি, ঠাকরান সোরেন এবং মালতী মূর্মূ। সেই কথা চাউর হতেই ওই চার আদিবাসী মহিলাকে বালুরঘাট নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল মহিলা মোর্চার তৎকালীন জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় তাঁদের।
অভিযোগ, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত দণ্ডি কাটিয়ে আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হয় তাঁদের। চার আদিবাসী মহিলার দণ্ডি কাটার সেই ভিডিয়ো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা।
প্রকাশ্যে ঘটনার নিন্দা করেন সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বিজেপি নেতা৷ অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূলও৷ তারাও জানায়, এমন ঘটনা কখনওই সমর্থন যোগ্য নয়। পরে তৃণমূল জেলা মহিলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। নয়া সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে আসা হয় উপজাতি মুখ স্নেহলতা হেমব্রমকে।
ঘটনা নিয়ে জাতীয় এসটি কমিশনে অভিযোগও জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি, তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে জবাবও তলব করে কমিশন৷