সেক্ষেত্রে শেষমেষ ২৯ জুন বৈঠকে সমস্ত ক্ষোভ-বিক্ষোভ, মান-অভিমান, দূরত্ব ঝেড়ে ফেলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হলেও অবাক হতে হবে না। শুক্রবারই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়া চিঠি দেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তার মধ্যে একটি চিঠিতে ছিল ডোমজুড় এলাকায় যেসব বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন তাদের তালিকা ছিল। অন্য একটি চিঠি ছিল মুখবন্ধ খামে ভরা। অনেকেই বলছেন এই চিঠিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন।
advertisement
ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোট বিপর্যয়ের পর তিনি আক্ষরিক নিশ্চিহ্ন হয়ে যান দলের রুটম্যাপ থেকে। দলের সমস্ত কর্মসূচি এড়িয়ে যেতে থাকেন তিনি। বরং তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ প্রকাশ্যে আসছিল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ সময় কাটান কুণাল ঘোষের বাড়িতে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনে হাজির ছিলেন তিনি। এই জোড়া সাক্ষাৎ নেহাত সৌজন্যের বলে রাজীব জানালেও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চাউর হয় রাজীব সম্ভবত তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। জল্পনার কারণ, রাজীব সোশ্যাল মিডিয়া দলের সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছিলেন দিন কয়েক আগেই।
কিন্তু রাজীব তৃণমূলে ফিরতে চাইলেও অনেকগুলি কাঁটা ছিল। রাজীবের ছেড়ে যাওয়া দফতর নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় তাঁকে দলে ফেরালে দলের বিশ্বাসযোগ্যতাই কি প্রশ্নের মুখে পড়বে না, এই নিয়েই যখন কথা চালাচালি, তখনই আবার সক্রিয় হলেন রাজীব। এবার কি তবে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর পালা, তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।
-Sourajyoti Banerjee