বঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে ভূপেন্দ্র ও বিপ্লবের নাম ঘোষণা হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। নাম ঘোষণার পর গতকাল প্রথম বঙ্গে এসেছেন বিজেপির এই দুই নেতা। দফায় দফায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তাঁরা। গতকাল সল্টলেকের অফিসেও বৈঠক করেন তাঁরা।
advertisement
সেই বৈঠকে শমীক, বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, সতীশ ধন্দরা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে দুই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক জানতে চান, কোথায় আর একটু উন্নতির সুযোগ রয়েছে। কম ভোটের ব্যবধানে হারা লোকসভা ও বিধানসভা আসনগুলিতে কতটা উন্নতি করলে জয় সম্ভব, সেই হিসাব নিকাশ করা হয় বলেও সূত্রের খবর।
সাংগঠনিক রদবদল বা দায়দায়িত্ব বণ্টনে নির্বাচনী লাভ-ক্ষতির হিসাব নিকাশের উপরও জোর দেওয়া হয়। রাজ্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেই হিসাব নিকাশ কতটা করা যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিজেপিতে দায়দায়িত্ব পাওয়া আর না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ-রাগ-অভিমান তৈরি হয়। এহেন আবহে কমিটি গঠনের প্রভাব নির্বাচনে কতটা পড়বে, তা বিচার বিবেচনা করা হয়েছে। যেহেতু এই রাজ্যের বিজেপির সাংগঠনিক অবিভাবক হিসাবে বনশল রয়েছেন, তাই তাঁর সঙ্গে ২ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আলাদা করে বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের দাবি।
এদিকে, সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন বিপ্লবকুমার দেব। বঙ্গ বিজেপি অন্দরে তা নিয়ে চর্চা চলছে। কারণ, একাধিক বিধায়ককে ফোন করে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন বিপ্লব দেব। বিভিন্ন অংশের গ্রাউন্ড রিপোর্ট, দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকা, শাসক দলের উপস্থিতি কতটা, প্রশাসনের কী ভূমিকা, এমন নানা বিষয়ে রির্পোট পাঠানোর জন্য ওই বিধায়কদের বলেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী সহকারী পর্যবেক্ষক।