সকাল থেকে সংসারের নানা কাজ, দুপুর ও সন্ধ্যায় রান্না-বান্না করে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাঁর হাতের কাজের জন্যে আদর্শ সময়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা কাজ করে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের রেপ্লিকা তৈরি করেছেন তিনি। দেখতে হুবহু দক্ষিণেশ্বর মন্দির। এটি তৈরি করতে তিন মাস সময় লেগেছে গোবিন্দ বাবুর। এর আগে আইফেল টাওয়ার, হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেছেন।
advertisement
শিল্পী গোবিন্দ হাজরার সৃজনশীল ভাবনায় ফেলে দেওয়া ও বাতিল জিনিস রূপান্তরিত হয় আকর্ষণীয় সামগ্রীতে। স্থানীয় মানুষের আকর্ষণ থাকে সেই সমস্ত জিনিসের প্রতি। নতুন কিছু সৃষ্টি হলেই, আত্মীয় পরিজন গ্রামের মানুষ আসেন তা দর্শন করতে। এটাই শিল্পীর ভাললাগা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে শিল্পী গোবিন্দ হাজরা জানান, ৮ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করছেন তিনি। সংসার ও কাজের চাপে বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিল সৃজনশীল চিন্তাভাবনা। এবার কাজ থেকে অবসর ননেওয়ার পর কয়েক বছর হল আবারও বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে জিনিস তৈরি করছেন। প্রতিটি জিনিস একটি মাত্রই তৈরি করে তা যত্ন রেখে দেওয়া নিজের ঘরেই। এ পর্যন্ত প্রায় একশত জিনিস তৈরি করেছেন শিল্পী। সেরা কয়েকটি জিনিসের মধ্যে অন্যতম দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের এই রেপ্লিকা। এটি তৈরি হয়েছে ধূপকাঠি, টুথস্টিক এবং প্লাই আঠা ব্যবহারে।