এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে তন্ময় অভিযোগ করেন, 'বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিই বোঝে না। বরং বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করতে চাইছে তাঁরা। সেই কারণেই মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি বিজেপির সকল জনপ্রতিনিধিকে বলছি, আপনারা ওই দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের সামিল হওয়া উচিৎ।'
advertisement
বস্তুত তন্ময় ঘোষকে জল্পনা নতুন নয়। ভোটের ফলপ্রকাশের পর যখন প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গা থেকে দলবদলের খবর আসছিল, তখন বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন তন্ময় বাবু। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও বিধায়ক দলের অন্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে সপুত্র তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন মুকুল রায়। 'ঘর ওয়াপসি' হয়েছে বিভিন্ন জেলার বেশকিছু নেতা কর্মী ও সমর্থকের। আরও অনেকেই ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে পারেন বলেও এখনও জল্পনা রয়েছে। এর মাঝে আবার তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছ, বিজেপির বেশকিছু বিধায়কও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমন দাবি করেছিলেন স্বয়ং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে কিছুদিন তেমন কিছু শোরগোল পড়েনি। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করেই শোরগোল ফেলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আরও কতজন বিজেপি বিধায়ক সেই পথে হাঁটেন, সেটাই এখন দেখার।
