বিহার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগেও কেলেঙ্কারির অভিযোগ। বিহার পুলিশের পর এবার তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কনস্টেবল পদে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। কোটি কোটি টাকার লেনদেন। হদিশ পেতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে একযোগে ১৪ জায়গায় অভিযান চালাল ইডি। অভিযান চলে কলকাতা ও মধ্যমগ্রামেও। এছাড়াও পাটনা, নালন্দাতেও অভিযানে নেমেছে ইডি কর্তারা। অভিযান চলেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, উত্তরপ্রদেশের লখনউ শহরেও, দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
advertisement
২০২৩ সালে বিহার পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। আবেদন করেন অনেকে। পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে । এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্ন, অর্থাৎ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায় নিয়োগ। শুরু হয় তদন্ত। বিহার পুলিশ তদন্তে নেমে শতাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে। যারা এই চক্রে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ। তদন্তে দেখা গিয়েছে ৪০-৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিনিময়ে এই প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে এক একজন চাকরিপ্রার্থীর হাতে। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেন। তদন্তে নামে ইডি।
তদন্ত চলাকালীন ১০ জনকে গ্রেফতার করে ইডি। তাদের জেরা করেই প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলে বৃহস্পতিবার। ইডি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে মেডিক্যাল নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রীরাও বিহারের কনস্টেবল পদে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্ত। একাধিক মাস্টার মাইন্ড রয়েছেন। যারা কৌশলে এই দুই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে আর লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। এদিনের অভিযানে একাধিক মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক সহ প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
