একদিকে গ্রীষ্মকাল ও আবহাওয়া-জনিত কারণ তার সঙ্গে দোসর করোনা নিয়ে আতঙ্ক (Covid-19 Scare)। ফলে ভয়াবহ রক্ত সংকট (Bengal News Blood Crisis) তৈরি হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। কোভিড ১৯ এর সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই দ্বিধা করছেন রক্ত দিতে। পাশাপাশি ট্রেন বন্ধ থাকায় দূরের বা গ্রামের মানুষ রক্ত দিতে আসছেন না শহরে।
আরও পড়ুন : হঠাৎই 'পুরনো বন্ধু' ফিরে পেল বামেরা! রবিবারের বৈঠক থেকে আগামীর দিকনির্দেশ
advertisement
তার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অনীহা রক্তদান শিবির (Blood Bank) আয়োজন করার বিষয়ে। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যে রক্ত সংগ্রহ অনেকটাই কম হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এর সঙ্গে শনিবার এবং রবিবার যে রক্ত সংগ্রহ (Blood Bank) করা হচ্ছে সেই রক্তের গ্রুপ বিন্যাস করতে অনেকটা সময় কেটে যাচ্ছে, ফলে সমস্যায় পড়ছেন ভুক্তভুগী অর্থাৎ রক্ত লাগবে সেই মানুষরা।
নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের অত্যন্ত আকাল চলছে। পজিটিভ রক্তের ঘাটতিও একইরকম বেশি। বিশেষত এবি পজেটিভ রক্ত ঘাটতি অত্যন্ত বেশি বলেই জানা গিয়েছে। কোনও রোগীর যদি ৪ ইউনিট রক্ত লাগে তবে এক ইউনিট পাওয়া যাচ্ছে, বাকি ডোনার লাগছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকের যে পরিস্থিতি তাতে সর্বত্রই প্রায় ডোনার ছাড়া রক্ত দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : ভবানীপুরে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের পাশে শুভেন্দু, ধুনুচি নাচের তালে মনোনয়ন পেশ প্রার্থীর
এই গোটা পরিস্থিতিতে সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন থালাসেমিয়া আক্রান্ত (thalassemia patients) এবং হিমোফিলিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুরা। এদের নিয়মিত রক্তের যোগান পেতে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে। অসুস্থ রুগী নিয়ে অথৈ জলে পড়েছে পরিবারগুলি।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপে ইতিমধ্যেই জমায়েত এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো রক্তদান শিবির। এর পর ব্লাড ব্যাংক গুলোতেই ৩০ জন করে রক্তদানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আশাপ্রদ সাফল্য পাওয়া যায়নি। যার জেরে রক্ত সংকট ক্রমশ আরও বাড়ছে। চিন্তায় ব্লাড ব্যাংকগুলি।