বাবার পকেটে টাকা আছে। স্বপ্ন ছেলেকে ক্রিকেটার গড়ার। ছেলের প্রতিভা আছে। কিন্তু নিজের রাজ্যে ? কড়া প্রতিযোগিতা। অতএব উপায় ? ডেস্টিনেশন বেঙ্গল। এভাবেই ১৫, ১৬, ১৭-র দোরগোড়ায় পা রাখা ক্রিকেটাররা প্রতি মরসুমে ঢুকে পড়ছেন বঙ্গ ক্রিকেটে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড থেকে। কলকাতার অ্যাকাডেমিতে মিডিয়ার চিলনজর সারা বছর। সহজতম গন্তব্য একটু ছোট শহর। মোটা ডোনেশন। ব্যস.... রাতারাতি স্থানীয় স্কুলে ভর্তি। জাল সার্টিফিকেট। এমনকী, বাবা-মার ভুয়ো আস্তানার ঠিকানা দিয়ে হাতেগরম ডকুমেন্ট। সব রেডি হয়ে যাবে রাতারাতি। সব দায়িত্ব নেবে র্যাকেট। তবে খরচা আছে।
advertisement
দক্ষিণ কলকাতার দুটি অ্যাকাডেমিতে সক্রিয় এই র্যাকেট। ডালপালা ছড়িয়ে বনগার কোচিং সেন্টারে। বাদ নেই রায়গঞ্জ, বালুরঘাট। মফঃস্বলের অন্য কোচিং সেন্টাররাও সব জানেন। কিন্তু কমবেশি সকলেই অভিযুক্ত ভিনরাজ্যের এইসব ভাড়াটেদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে।
ছোটদের ক্রিকেট পেরিয়ে এই বহিরাগতরাই বিনা বাধায় ঢুকে পড়ছেন কলকাতার ক্লাব ক্রিকেটে। তারপর ? হারিয়ে যাচ্ছেন বেশিরভাগই। ঈশ্বরণ, রামন, শামিরা ব্যতিক্রম। কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যাচ্ছে তার আগেই। পিছিয়ে পড়ছেন ভূমিপুত্ররা। আর রঞ্জি দলে ক্রমশ সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছেন চাটুজ্জে, বাঁড়ুজ্জে, সাহা, দিন্দারা।
প্রদীপ্ত গোস্বামীর রিপোর্ট