বালিগঞ্জ শিক্ষাসদন ও আর্যমন্দিরে ইতিমধ্যেই ভোটদানের লম্বা লাইন পড়েছে ইতিমধ্যেই। সূত্রের খবর করোনার মধ্যে ভোটদান প্রক্রিয়া যাতে ব্যহত না হয় তাই জন্যে তিনি ঘটনাকে দীর্ঘায়িত করেননি, এজেন্টদের সঙ্গে দূর থেকে কথা বলেই বুথ ছেড়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচন কমিশনে ঘটনা নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন। তৃণমূল বলছে, বুথে ঢোকা প্রার্থীর অধিকার। এক্ষেত্রে সেই অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
advertisement
দেবাশিস কুমার বলেন, নির্বাচন কমিশন যা বলেছে তাতে প্রার্থী বুথে ঢুকতে পারে নির্দ্বিধায়। বুথে ঢুকতে না দিলে কিছু আসে যায় না। আমার কাছে শান্তিপূর্ণ বুথটা বেশি জরুরি। এসবের ফলাফল কী হবে আমি জানি। আমার ঢোকাটাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটটাই চাইব।
সূত্রের খবর অভিযোগ পেয়ে এদিন নড়েচড়ে বসে কমিশন। বারবার বলা সত্ত্বেও রাসবিহারীর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশীষ কুমারকে কেন ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে তা এডিজি আইন-শৃংখলার কাছে জানতে চায় কমিশন। পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও ভোট প্রার্থী বুথে ঢুকতে পারছেন না এ ধরনের ঘটনা কোনও মতেই সমর্থনযোগ্য নয়, বলা হয় কমিশনের তরফে। এডিজি আইন-শৃঙ্খলাকে বিষয়টি দেখতে বললো কমিশন। এর আগে বিধাননগরের সুজিত বসু ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছে কমিশন। তৎপর হয়ে রিটার্নিং অফিসারকে ফোনও করা হয় কমিশনের তরফে। বলা হয়, প্রার্থীর কাছে পরিচয়পত্র থাকতেও বুথে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমন ঘটনা যেন না ঘটে। রিটার্নিং অফিসার, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সকলকেই সতর্ক করা হয়েছে এই ঘটনায়।
রাসবিহারী কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাশিস কুমার কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ ছিলেন। ২০১০ ও ২০১৫ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়াই করেন। এই কেন্দ্রে অতীতে লড়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী এবার প্রার্থী ভবানীপুরে। দেবাশিস কুমারের লড়াই বিজেপির নতুন মুখ প্রাক্তন সেনাকর্তা সুব্রত সাহা।
