সম্প্রতি সুনীল বনসলকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সুনীল বনসলের পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আরও অন্যান্য রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন। তাই বাংলার জন্য পূর্ণ সময়ের কেন্দ্রীয় প্রভারী নিয়োগ করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর চব্বিশে লোকসভা। তার আগে বাংলার দিকে বিশেষ নজর গেরুয়া শিবিরের। তাই সুনীল বনসলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ণ সময়ের জন্য বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হলো মঙ্গল পান্ডেকে। অমিত মালব্যর পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক করা হলো আশা লকড়াকে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর পরেই 'প্রাথমিকে' নিয়োগ! ২০ হাজারের বেশি শূন্যপদে শিক্ষকের চাকরি! সিলমোহর বৈঠকে
সুনীল বনসলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ণ সময়ের জন্য বিজেপির প্রভারি নিযুক্ত করা হল মঙ্গল পান্ডেকে। অমিত মালব্যর পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক করা হলো আশা লকড়াকে। এতদিন প্রভারি ছিলেন শিবপ্রকাশ। সহ পর্যবেক্ষক ছিলেন অরবিন্দ মেনন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র পর শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেনন দু'জনকেই বাংলার দায়িত্ব থেকে থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। শিবপ্রকাশের জায়গায় আনা হলো মঙ্গল পান্ডেকে। আর অরবিন্দ মেননের জায়গায় আনা হলো আশা লাকড়াকে।
আরও পড়ুন: 'বাংলার পুলিশ উলঙ্গ হয়ে গিয়েছে...' বামেদের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে তোপ সূর্য-সেলিমদের
মঙ্গল পান্ডে বিজেপির বিহারের রাজ্য সভাপতি এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। আশা লকড়া, দুবারের রাঁচির মেয়র ছিলেন এবং দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারির পাশাপাশি আদিবাসী নেত্রী হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মঙ্গল পান্ডে বিহার বিজেপির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন, বিহারে বিজেপির আসন বাড়াতে মঙ্গল পান্ডের ভূমিকা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য ছিল। সেই মঙ্গল পান্ডেকেই এবার নিয়ে আসা হলো পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে। সে ক্ষেত্রে সামনে পঞ্চায়েত ভোট এবং তারপর লোকসভা নির্বাচন। দায়িত্ব নেওয়ার পর মঙ্গল পান্ডে বঙ্গ বিজেপি শিবিরে কোন নতুন পরিবর্তন আনতে পারেন কিনা, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।