বিরোধীরা অভিযোগ করে, অনেকক্ষেত্রে তো মনোনয়ন কেন্দ্র পর্যন্তই পৌঁছতে পারেননি তাদের প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে অনলাইন মনোনয়ন পেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করেছে বিজেপি। কিন্তু, পদ্ম শিবির মনে করছে, শেষ পর্যন্ত অনলাইন মনোনয়ন পেশের অনুমতি দেবে না কমিশন। তাই আগেভাগেই কৌশল নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।
advertisement
সূত্রের খবর , পদ্ম ব্রিগেড ঠিক করেছে, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন দিতে প্রার্থীদের সঙ্গে যাবেন এলাকার সাংসদ-বিধায়কেরাও। তাই মনোনয়ন পেশের সময় এলাকাতেই থাকতে হবে সাংসদ-বিধায়কদের।দলের অনুমতি ছাড়া এলাকা ছাড়তে পারবেন না তাঁরা। পঞ্চায়েতের কৌশলের কথা বলতে গিয়ে আরও একবার ডিসেম্বর-জল্পনা উস্কে দিলেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, 'শাসকের তখন বাধা দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে না'।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন রাজ্যের, নলবাহিত জল পৌঁছে গিয়েছে ৫০ লক্ষ বাড়িতে, সময়ের আগেই লক্ষ্যপূর্ণ
তবে রাজ্য বিজেপিকে ভাবাচ্ছে দুর্বল সংগঠন। ঘরোয়া কোন্দল। আদৌ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন কৌশল কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে খোদ দলের একাংশের মধ্যেই। এদিকে বছর ঘুরলেই যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জেলায় জেলায় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত প্রস্তুতি বৈঠক। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কিভাবে শাসকদলের মোকাবিলা করা হবে, সে ব্যাপারে আলোচনার পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের বিশেষ নজরে উত্তরবঙ্গ। দলের সাংগঠনিক জেলা ভাগ করে করে জোর কদমে চলছে ভোট প্রস্তুতি।