পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের মধ্যে সেই ১০টি বিভাগেই প্রধানমন্ত্রীর একটি করে প্রশাসনিক এবং জনসভার কর্মসূচি রাখা হবে স্থির হয়েছিল। সেইমতো গত মে মাসে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জুলাইয়ে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর এবং গত অগাস্ট মাসে উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে প্রশাসনিক সভা এবং জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
advertisement
পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত তা-ই বহাল থাকবে। ফলে আপাতত প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আয়োজনের ব্যস্ততা নেই রাজ্য বিজেপির। দলীয় সূত্রে খবর, চতুর্থ সভাটি হওয়ার কথা ছিল নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। স্থির হয়েছিল, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সেই সভা হবে। কিন্তু মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দলীয় সূত্রেরই বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে। এখনও পুরোপুরি বাতিল হয়ে যায়নি। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। তবে এর আগেও শোনা গিয়েছে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি নয় নেতা নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই চলবে ভোট প্রচার। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে গোটা দেশ জুড়ে ১০০ টির বেশি জনসভা করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে প্রত্যেকটি জেলাভিত্তিক সভা করার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের কারণেই আপাতত স্থগিত আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর। তবে স্থগিত থাকলেও রাজনৈতিক জনসভা করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদল হয় কিনা সেটাই এখন দেখার। পাশাপাশি আগামী দিনে রাজনৈতিক জনসভার বদলে শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস বা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করতে প্রধানমন্ত্রী আসার জল্পনা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।