TRENDING:

Durga Idol Immersion: দুর্গাপুজোর ভাসান দেখতে গিয়েই তলিয়ে গিয়েছিল ঘরের ছেলে, বিসর্জন মানেই তাঁদের কাছে আতঙ্ক

Last Updated:

Durga Idol Immersion: নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে পারলেও, বাঁচাতে পারলেন না বাড়ির আর এক ছেলেকে। তাই সন্তান হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই মালবাজারে বসে আছে মিতালি অধিকারী। মালবাজারের বর্ধিষ্ণু পাড়ায় বসবাস করেন অধিকারী পরিবার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালবাজার: নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে পারলেও, বাঁচাতে পারলেন না বাড়ির আর এক ছেলেকে। তাই সন্তান হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই মালবাজারে বসে আছে মিতালি অধিকারী। মালবাজারের বর্ধিষ্ণু পাড়ায় বসবাস করেন অধিকারী পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথেই মালবাজারের এলাকার মানুষের দারুণ পরিচয়। অধিকারী পরিবার হারিয়েছে দুই জনকে। আর সেদিনের ঘটনা মনে করতে গিয়ে কার্যত নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা উল্লেখ করছেন মিতালী অধিকারী।স্বামী, ভাসুর, জা, ভাসুরের ছেলে, নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে মাল নদীর ঘাটে ভাসান দেখতে গিয়েছিলেন তারা।
এখনও দগদগে ভাসানের স্মৃতি
এখনও দগদগে ভাসানের স্মৃতি
advertisement

আরও পড়ুন: ৩৫-এর যুবতীকে বিবাহ ৭৫ বছরের বৃদ্ধের, ফুলসজ্জার রাতেই দুজনে শুরু করলেন সেই কাজ! সকাল হঠাৎ বুকেব্যথা! তারপর…

মিতালি বলেন, “আমরা বাড়ির সকলে এক সাথেই ভাসান দেখতে যাই। এবারও গিয়েছিলাম। সবাই আনন্দ করেছি। স্থানীয়দের অনেকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। সেইবারে যেহেতু ভাসানের জায়গা বদল করা হয়েছিল, তাই অনেকেই চেয়েছিলেন ভাসানের জল মাথায় ছুঁয়ে আসতে”৷ এখনও সেদিনের কথা মনে পড়ে তাঁদের। স্মৃতিচারণা করে বলেন, “আমরা তখন ওখানে যাই৷ গাড়ি নামার রাস্তা করা হয়েছিল। সে অর্থে জল ছিল না। কারণ একদিকে বোল্ডার ফেলে নদীর স্রোত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে মানুষ সেই দিকেই যাচ্ছিল। এরই মধ্যে নদীর জল যখন বাড়তে শুরু করে দেয়, তখনই মাইকে ঘোষণা করা হয়, সবাই নদী ছেড়ে উঠে চলে আসুন। আর তখনই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে জলে পড়ে যাই। জলের স্রোতে আমার ছেলে ভেসে  যাচ্ছিল। আমি ওর হাত ধরে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার নীচে ও পড়ে যায়। এরপর আমাদের ওপর দিয়ে লোক চলে যাচ্ছিল। এক পুলিশ কর্মী আমাদের টেনে তোলার চেষ্টা করলেও তিনি পারেননি। এরই মধ্যে আমার স্বামী চলে আসেন। ওই অবস্থায় তিনি আমাদের টানেন। এর মধ্যে অপর এক পুলিশ আমাকে পাঁজাকোলা করে তোলে। আমার স্বামী আমার ছোট ছেলেকে তুলে আনে”।

advertisement

সেদিন অনেক কষ্টে প্রাণে বেঁচেছিলেন মিতালির দুই সন্তান। তাঁর বড় ছেলে আবার ভেসে গিয়ে একটা পাথরে আটকে যায়, তবে বাঁচাতে পারেননি দেওরের ছেলেকে। “আমরা সবাই প্রাণে বেঁচে গেলেও, আমার দেওরের ছেলেকে আমরা কেউ বাঁচাতে পারলাম না। অধিকারী পরিবারের এই অবস্থা দেখে শোকে কাতর গোটা এলাকা। তবে মিতালী দেবী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর কোনও দিন ভাসানের ঘাটে যাব না”।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Durga Idol Immersion: দুর্গাপুজোর ভাসান দেখতে গিয়েই তলিয়ে গিয়েছিল ঘরের ছেলে, বিসর্জন মানেই তাঁদের কাছে আতঙ্ক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল