রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন মেনে ফুল, মালা এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গার তীরেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। এ জন্য কলকাতা পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পর্যাপ্ত পুলিশ এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাখা হবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। শহরের ভিতরে যে জলাশয়গুলি রয়েছে, সেখানে যাতে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
advertisement
বেশ কিছু ঘাটে কাঠামো তোলার জন্য ক্রেন রাখা থাকছে। এরই সঙ্গে পুরকর্মীরা নিজেরাও কাঠামো তুলবেন। কাঠামো ভাসান দেওয়ার জন্য সমস্ত ঘাটে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘাটই হাওড়া কর্পোরেশনের তরফে রং করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। কিছু ঘাট মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। সব ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঘাটগুলিতে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সেগুলি দ্রুত তুলে এনে পুরকর্মীরা ঘাটের পাশেই রাখবেন। পরে ভোর ৩টে থেকে সেগুলি আবার গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘাট পরিষ্কার দেবেন এজেন্সির লোকেরা।
আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক! বিরাট প্রভাব পড়বে গৃহ ঋণে
পুরকর্মীদের সঙ্গে প্রতিটি ঘাটেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি করে মেডিক্যাল টিম থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের জন্য প্রতিটি ঘাটেই পুলিশ এবং কোনওরকম দুর্ঘটনা রুখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী মোতায়েন থাকবে। বিজয়া দশমীর দিন থেকে যতদিন ভাসান চলবে ততদিনই প্রতিটি ঘাটেই এই ব্যবস্থা থাকছে।হাওড়া কর্পোরেশন, সিটি পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই পরিবেশবান্ধব প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। ভাসানের কারণে যাতে কোনওরকম গঙ্গাদূষণ না হয় তার জন্য ভাসানের পরই দ্রুত কাঠামো তুলে নেওয়া হবে। এর জন্য এজেন্সির মাধ্যমে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করেছে হাওড়া কর্পোরেশন।