প্রসঙ্গত, প্রতাপ বন্দোপাধ্যায় আদি বিজেপি নেতা হলেও এবারে রাজ্য কমিটিতে জায়গা পাননি তিনি। মুখপাত্র ছাড়া পদ খুইয়েছেন জয়প্রকাশও। তারপরই এই বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও বৈঠক শেষে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্রেফ চা খেতে এসেছিলেন তিনি। জয়প্রকাশও বলেন, ''রাজনীতির আলোচনা করতেই এসেছিলেন সকলে। প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমীরণ সাহা দুজনেই গত ৩০-৩৫ বছর ধরে বিজেপি কর্মী। বর্তমানে বিজেপিতে রাজ্য বিজেপিতে সব থেকে পুরোনো কার্যকর্তা বলতে বোধহয় প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরপর সমীরণ সাহা। আজ বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে, কিন্তু এর পেছনে যাঁদের ভূমিকা আত্মত্যাগ রয়েছে, এই দুজন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।''
advertisement
আরও পড়ুন: মোদি ফিরতেই আসরে তৃণমূল, ২০২৩-এর লক্ষ্যে আজ বড় অভিযান ঘাসফুলের!
প্রায় ঘন্টা দু’য়েক জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনা হয় প্রতাপ বন্দোপাধ্যায়ের। বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রতাপবাবু বলেন, “মিটিং কিছু নেই। কারও বাড়ি কেউ যাবে না? কোন বিষয় নিয়ে কথা নেই। সন্দেহের কিছু নেই, চা খেতে এসেছিলাম।'' যদিও এই বৈঠক বিড়ম্বনায় ফেলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে।
আরও পড়ুন: কঠোর হাতে রাশ, নতুন ফর্মুলায় চলবে সংগঠন, মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়
এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ''নতুন কমিটিতে যারা এসেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। তাই যাঁরা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, তাঁরা জ্ঞান দিয়ে বাকিদের উদ্বুদ্ধ করুন। কেউ কারও বাড়ি যেতেই পারেন চা খেতে। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা বলতে পারবেন। বৈঠক করা কোনও দল বিরোধী কাজ নয়।'' অপরদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ''মিটিং হতেই পারে। আমার মতো তো সবাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিটিং করে না। কেউ আলাদা মিটিং করলে করতেই পারে।'' যদিও তাতে বিড়ম্বনা থামছে না গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।