কী বললেন সন্তোষ? সূত্রের খবর, দলীয় বৈঠকে সন্তোষ বলেন, ''সন্দেহ করে দল চলে না। কে কবে দল ছাড়বে, সেটা ধরে নিয়ে তাকে কমিটিতে রাখব না, কাজ দেব না, এটা হতে পারে না। ছোট হোক আর বড় হোক, নেতা কর্মীর ওপর নেতৃত্বকে আস্থা রাখতে হবে। বিশ্বাসটাই আসল।
সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।''
advertisement
এখানেই শেষ নয়, সন্তোষের বার্তা, ''কেউ ব্রাত্য নয়। কেউ যখন দল ছেড়ে যায়, আমার কষ্ট হয়। আমি এক মিনিট ভাবি। আমার কি কোন ভুল হল? আমি কি তাকে ঠিক বোঝাতে পারিনি? আমি মনে করি, এটা আমার ব্যার্থতা। সকলকে নিয়ে চলতে যদি না পারো, তাহলে তুমি কীসের নেতা?'' রাজনৈতিক মহলের মতে, সন্তোষের তোপের নিশানা আসলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীরা।
আরও পড়ুন: এক কথাতেই 'তেজ' বোঝালেন রোদ্দুর, কলকাতায় পা রেখেই বিস্ফোরক মন্তব্য! যা বললেন...
সন্তোষ যখন রাজ্য নেতৃত্বকে এই বার্তা দিচ্ছেন, তখন রাজ্য সফরে স্বয়ং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। দলকে সংঘবদ্ধ করতে নাড্ডাও একাধিক টোটকা দিয়েছেন সুকান্তদের। এরই মধ্যে বি এল সন্তোষের বার্তা, ''রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় আরো বাড়াতে হবে। উপর তলায় একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বলা বন্ধ করা দরকার। এতে দলের সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে।''
আরও পড়ুন: বেনজির রায় আদালতের, বিচার শেষ হয়ে যাওয়া বালির তপন দত্ত খুনের তদন্তে এবার সিবিআই!
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জেপি নাড্ডাও। সেই বৈঠকেই রাজ্য নেতৃত্বকে তিনি বার্তা দেন, ''মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মতাদর্শগত সংগ্রাম থাকবে। কিন্তু, বেশি গুরুত্ব দিতে হবে মানুষের দাবিকে। বর্তমান সরকারের দূর্নীতি ও বঞ্চনা নিয়ে আম আদমির মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে, তাকে গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। কেন্দ্র বা কেউ উপর থেকে এসে রাজ্যে পরিবর্তন করে দেবে না। লড়াই, আন্দোলন করেই রাজ্যে দলকে এগোতে হবে।''
বিধানসভা ভোটের ব্যর্থতার দগদগে ক্ষত। দলের শীর্ষস্তরে নেতাদের প্রকাশ্যে চলে আসা দ্বন্দ্ব। তার উপর একের পর এক নেতার পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ঘর ওয়াপসি। কিছুটা আগোছালো অবস্থায় যখন বঙ্গ বিজেপি, সেই সময়েই গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জগত্ প্রকাশ নাড্ডাও দলীয় নেতৃত্বকে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখেও লড়াইয়ের বার্তাই ছিল।