পাশাপাশি শমীক ভট্টাচার্য বলেন,' কোনও চক্রান্তের কারণে, বাংলার কোনও রাজনীতিবিদ কিংবা অন্য কেউ এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত কিনা, তার তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন তদন্তের স্বার্থে কাউকে নিজেদের হেফাজতে নিতেই পারে'। জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের গ্রেফতার হন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে। যদিও শুক্রবার ফের আবার জামিন পান সাকেত। সাকেতের গ্রেফতারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
প্রসঙ্গত, একটি ট্যুইটকে ঘিরে অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। বৃহস্পতিবার তিনি জামিন পান। কিন্তু জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে যদিও ফের জামিন পেয়ে যান সাকেত। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, ২ জানুয়ারি, বেলা ১২টা! বড় কিছু ঘটবে, শুভেন্দুর পাল্টা ভবিষ্য়দ্বাণী কুণালের
সাকেত ইস্যুটি ইতিমধ্যে রাজ্যসভায় উত্থাপন করেছে তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। তিনি জানান, যে ভাবে সাকেতকে জামিনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। দল যে সাকেতের পাশে রয়েছে, সেই বার্তা দিতে শুক্রবার মোরবিতে সাকেতের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। মোরবি পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে দেখাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন, অন্ন যোজনা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি! প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সৌগতর
তৃণমূল শিবিরের তরফে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে পদ্ম শিবির বলছে, "গণতান্ত্রিক দেশ। বহুদলীয় ব্যবস্থা। যে কেউই কারোর দরবারে যেতেই পারে। তবে নির্বাচন চলাকালীন কারও বিরুদ্ধে কুৎসা চলতে পারে?" এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি শিবিরের কথায়, "গুজরাতের মত শান্তিপূর্ণ ভোট, যেখানে সামান্য একটিও অশান্তির খবর নেই। সেখানে টুইটের মাধ্যমে কুৎসা কেন করা হল, তার কারণ অনুসন্ধান জরুরি। এতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কিছু নেই।"