বিজেপি-র আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এদিন বলেন, ''হুমকির মুখে কোনও ভোটার বুথে যাবে ভোট দিতে! বুথ থেকে হুমকি দিয়ে ভোট না দিয়ে ফিরিয়ে দিলে কী হবে! ভয়ের পরিবেশ বর্তমান, অবাধ ভোট কীভাবে সম্ভব!'' বিজেপি-র অভিযোগ, ২০১৩ পঞ্চায়েত ভোট অবাধ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তখন আইনশৃঙ্খলার এত খারাপ পরিস্থিতিও ছিল না। আর আজ হাইকোর্টের নির্দেশে হওয়া ভোট পরবর্তী অশান্তি রেকর্ডে স্পষ্ট হিংসার পরিসংখ্যান। বিস্ময়করভাবে কমিশন চাইছেই না কেন্দ্রীয় বাহিনী।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষস্থানে, দেশের মধ্যে ফের মুখ উজ্জ্বল বাংলার!
বিজেপি-র আরও অভিযোগ, রাজ্য ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশ্বাস দিয়েছিল নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী ঘটনা ঘটেছিল, আজ সবার জানা। রাজ্যের আশ্বাসে তাই বিজেপির কোনও আস্থা নেই। প্রতিদিন হাইকোর্টে মামলা হচ্ছে পুলিশ নিষ্ক্রিয়, কোথাও পুলিশের অতিসক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। কোথাও রাজনৈতিক কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না আদালতের নির্দেশের পরও। এই মুহূর্তে রাজ্যের, কলকাতার পরিস্থিতি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে হাই কোর্টের একক বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই, বিজেপির দাবি খারিজ করল হাই কোর্ট
এদিন কলকাতায় ভোটের হার উল্লেখ করেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপি-র আইনজীবী। তিনি বলেন, ''কলকাতার ভোটে ক্রমশ ভোটদানের হার কমছে। ৫০% কাছাকাছি নেমে গেছে। ভোটারদের নিরাপত্তা বিশ্বাস না দিতে পারলে ভোটদান আরও কমবে, যা কাম্য নয় গণতন্ত্রে।'' যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণের পর ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপি-র যুক্তি মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। ফের দুপুর দুটোয় শুনানি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কমিশন ও রাজ্য একসুরে আদালতে জানায়, যে নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে পুরভোটের জন্য, তা যথেষ্ট। সেই আশ্বাসের উপর ভর করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।