এই ঘটনার পরে তদন্তে নামে বেলেঘাটা থানা। রবিবার চার অভিযুক্ত গ্রেফতারের পরে জানা যায়, আইনজীবীর কাছে আইনী পরামর্শ করার অজুহাতে বাড়িতে এসে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মুখ ও হাত বেঁধে সবই হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। বন্দুক দিয়ে ভয় দেখানোর পরেই বন্দুকের বাঁট দিয়ে কল্যাণ বাবু ও ছেলে সায়নকে আঘাত করে দুষ্কৃতিরা।
আরও পড়ুন- বাংলায় হবে যোজনা কমিশন, নেতাজি-স্মরণে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
advertisement
বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা নগদ অর্থ ও সোনা সহ রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। বিভিন্ন সিসি ক্যামেরায় তদন্তকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে দেখেন, বেশ কিছু লোক আইনজীবীর বাড়ির দিকে নজর রেখেই এই পরিকল্পনা বাস্তবে রুপ দিয়েছে।
বেলেঘাটা তদন্তকারীদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, এক অভিযুক্ত রুপ বাহাদুর কসবায় গা ঢাকা দিয়েছে। প্রথম অভিযুক্তের নাগাল পেতেই আরও তিন অভিযুক্তের সন্ধান পায় বেলেঘাটা থানা। যদিও এই ঘটনায় চারজন ছাড়াও আরও ব্যাক্তি জড়িত বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় মূল চক্রী ঘটনার পরেই রাজ্যের বাইরে গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী।
রবিবার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করে চার অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজত চায় বেলেঘাটা থানা। শিয়ালদহ আদালত আগামী মাসের তিন তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয়। যদিও এখনো পর্যন্ত নগদ টাকা বা গহনা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন- ভারতীয় রেলের স্মরণে 'নেতাজী এক্সপ্রেস', কেন কালকা মেলের নাম বদলে করা হয় ? জানুন
এদিকে এই ঘটনায় ভারতীয় দন্ড বিধির ৩৯৫ ও ১২০ বি ধারা যোগ করা হয়েছে। ডাকাতি ও ষড়যন্ত্রের মতো ধারা যোগ করে তদন্তকারী তদন্তে অগ্রগতি চায়। এছাড়া এই রাজ্যের বাইরে পলাতক অভিযুক্তদের নাগালে পেতে চায় বেলেঘাটা থানা। প্রসঙ্গত আইনজীবীর বাড়িতে ভর সন্ধ্যেয় এমন ঘটনায় অবাক স্থানীয়রা।