বাবা সরোজকুমার সরকার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পায়ের হাড় ভেঙেছে। সম্ভবত মঙ্গলবার তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে। বেহালার বাড়ি বন্ধ রেখে আপাতত দমদমে দাদা সঞ্জীব সরকারের বাড়িতে রয়েছেন সৌরনীলের মা দীপিকা। খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, সারাক্ষণ শুধুই ছেলেকে খুঁজে চলেছে কান্নাভেজা দুই চোখ।
আরও পড়ুন: বেহালাকাণ্ডে কড়া মুখ্যমন্ত্রী, ফোন মুখ্যসচিব-নগরপালকে! লরির চালক ধরা পড়ল বহু দূরে
advertisement
কাঁদতে কাঁদতেই সন্তানহারা মা দীপিকা সরকার বলে উঠছেন, ‘ওর বাবা কেন আরও ভাল করে হাতটা ধরে রাস্তা পার হল না। ওর বাবা তো বেঁচে গেল। সতর্ক হলে অন্তত ছেলেটার প্রাণটা বেঁচে যেত’। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সেদিনের দুর্ঘটনা কীভাবে হয়েছিল তা জানতে পেরেছে পুলিশ। জেনেছেন দীপিকা সরকারও। অটো থেকে নেমেই বাবা ছেলের হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে যান।
আরও পড়ুন: মমতার ইভিএম হ্যাকের বিস্ফোরক দাবির পাল্টা শুভেন্দু, বললেন, ‘সবই পরাজয়ের আশঙ্কা’!
সামনের সিগন্যাল খোলা দেখে এগোতে শুরু করেন। সেই সময়ে একটি লরির পিছনে আর একটি লরি দাঁড়িয়ে ছিল। ছেলের হাত ধরে দ্বিতীয় লরির সামনে দিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়েই ঘটে দুর্ঘটনা। সেটি পিষে দেয় ছোট্ট সৌরনীলকে। সরোজ সরকারের পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় চাকা। এসব ঘটনা জানতে পেরেই আরও যেন ভেঙে পড়েছেন মা দীপিকা সরকার। মনে দাগ কেটেছে রাস্তায় অসাবধানতার বিষয়টি।