কলকাতা: দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে এবার আরও বিপাকে প্রশান্ত বর্মণ৷ এবার রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গ্রেফতারি পরোয়ানা মঞ্জুর করল বিধাননগর আদালত।
রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেছিল বিধাননগর পুলিশ। বিধাননগর আদালতে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর সব তথ্য খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পরামর্শ দিয়েছিলেন, বিডিও প্রশান্ত বর্মন দ্রুত বিধাননগর আদালতে আত্মসমর্পণ করুন৷ হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিধাননগর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বিডিও-কে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশার মধ্যে রেললাইন পারাপার, ট্রেনের ধাক্কায় সব শেষ! মৃত্যু হল বৃদ্ধার
যদিও প্রশান্ত বর্মণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির না হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অন্য দিকে, তিনি বিধাননগর আদালতকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও কিছু জানাননি। সেই কারণে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়৷
আরও পড়ুন: এবার অন্য নজির বৈভবের, ১৪ বছর বয়সে দেশের শিশু-কিশোরদের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন সূর্যবংশী
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর যাত্রাগাছি থেকে স্বপন কামিল্যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ঘটনায় প্রথমে রাজু ঢালি ও তুফান থাপা নামে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের সঙ্গে যোগ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজগঞ্জের বিডিও। পরে সজল সরকার নামে কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতাও এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ।
