আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জানিয়েছে হাইকোর্ট। ১৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুন-আকর্ষণের কেন্দ্রে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, বছরে সরকারের খরচ ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি
বিচারপতি বলেন, "বিশ্বভারতীর উপাচার্য আইনের উর্ধ্বে নয়। লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়ে থাকতে পারে। ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকেরা আদালতের কাছে আবেদন করবেন। আদালত তা বিবেচনা করবে।"
advertisement
এর পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস থেকে সমস্ত ধরণের বিক্ষোভ, ধর্না যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সমস্ত ধরণের অবস্থান সরালেই ওই ৩ ছাত্র-ছাত্রীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আশ্বাস আদালতের। কোনও বহিরাগতের উপর ক্যাম্পাসে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অধ্যাপক ও ছাত্ররা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকে পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে, বিশ্বভারতী নিয়ে কোনও ধর্না, বিক্ষোভ করা যাবে না, স্পষ্ট নির্দেশ আদালতের।
আরও পড়ুন- গুজরাত সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তি সাক্ষর অ্যামাজনের, বিরোধীতায় ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি !
বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) ছাত্র বিক্ষোভ এখন নতুন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রদের এই বিক্ষোভ গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে এই বিক্ষোভ দানা বাঁধে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) তিন পড়ুয়া রূপা চক্রবর্তী, সোমনাথ সৌ এবং ফাল্গুনী পানকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করার প্রতিবাদে। বিক্ষোভ শুরু হয় গত ২৭ অগাস্ট থেকে, যে দিন রাতেই এই পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।