এরপরই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা সেখানে পৌঁছে যান। আর গোটা দলকে গ্রেফতার করে আড়াই কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। আসলে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পাচারকারীদের নাম পেয়েছিল অফিসাররা। তখন টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁরা দেখেন, তারা বিধাননগর স্টেশনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ সিপিআইএম-এর! নন্দীগ্রামে যা করল লাল ব্রিগেড…
advertisement
সেখানেই নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। তখনই দেখা যায়, এক ব্যক্তি কোমর থেকে সার্জিক্যাল বেল্ট খুলছেন। তাতেই সন্দেহ বাড়ে গোয়েন্দাদের। তাকে আটক করে বেল্ট পরীক্ষা করা হয়। তখনই বেরিয়ে পড়ে সোনা। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা অন্য সঙ্গীদেরও দেহ তল্লাশি করলে উদ্ধার হয় আরও চোরাই সোনা।
আরও পড়ুন: ‘আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে’, বিস্ফোরক অভিষেক! কাকে নিশানা করলেন?
হিসেব বলছে, সব মিলিয়ে ১৬টি সোনার বিস্কুট মিলেছে। যার বাজারদর আড়াই কোটি টাকার বেশি। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। এই সোনা মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে এসেছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তারপর সেখান থেকে চোরাপথে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া চারজনই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা সোনার চোরা–কারবারের সঙ্গে জড়িত। ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের চোরাই সোনার কারবারিদের যোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগেই কলকাতা স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছিল দু’কোটি টাকার সোনা। আগে একবার হাওড়া স্টেশন থেকে সোনা উদ্ধার হয়েছিল সোনা। তারপর কলকাতা স্টেশন সংলগ্ন উড়ালপুল থেকে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে আটক করে জিআরপি। আর তাদের তল্লাশি চালাতেই প্রায় তিন কেজি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। তারপরে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।