শুক্রবার ওড়িশার বালাসোরে রেল দুর্ঘটনা হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেন বাতিল হওয়ার খবর আসতে শুরু করে। রেল ছাড়া সড়কপথে ওড়িশা যাওয়ার বিকল্প পথ রয়েছে। অনেকেই সেই পথে যাওয়ার জন্য বাবুঘাটে বাসস্ট্যান্ডে এসে উপস্থিত হন। স্বাভাবিক সময় সেখান থেকে বাসের টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু শুক্রবার সেই বাসে করে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে প্রচুর মানুষ এসে উপস্থিত হন। এর সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে বাসের টিকিটের চাহিদা।
advertisement
আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাসের ভাড়া। উৎপল পট্টনায়ক বলে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, “এর আগে অনেকবারই বাসে করে উড়িষ্যা গিয়েছিলাম। এবার ট্রেনে করেই যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু মাঝপথে এরকম সমস্যা হওয়াতে বাসে করেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু এখানে এসে যে চিত্র দেখতে পাই তা এক প্রকার অমানবিক। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা উড়িষ্যা যাওয়ার জন্য বাসে উঠে পড়েছেন। তাও রীতিমতো ৫০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, বাকি টিকিটগুলো দুই থেকে তিন গুণ অন্তত দাম বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ কোথা থেকে এই ভাড়া দেবেন।”
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন! ওড়িশা যা চাইল, পৌঁছে যাচ্ছে তাই
খোকন নন্দী বেহালার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে এখন উড়িষ্যাতেই থাকেন। কলকাতায় আসেন মাঝেমধ্যে। কিন্তু এদিন তাঁরও একই অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “সমস্যায় পড়লে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঝোপ বুঝে কোপ মারার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রেও একই জিনিস দেখা গেল।” ব্যবসার কাজে কলকাতায় এসেছিলেন অপূর্ব নন্দী। এদিন সমস্যায় পড়েন তিনিও।
আরও পড়ুন: ওড়িশার হাসপাতালে শিউরে ওঠা দৃশ্য! ভর্তি করা হয়েছিল ১৬৫ জনকে, তারপর যা ঘটল…
তাঁর কথায়, “ব্যবসার কাঁচামাল সংগ্রহ করার জন্য মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসতে হয়। এবারেও একই রকম ভাবে জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা। আমি যাতায়াতের জন্য সাধারণত বাসই ব্যবহার করি। এবারও বাসে করেই বাড়ি ফিরতে চাইছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ট্রেন যাত্রীদের চাপ এসে পড়ে। বাসের টিকিট থাকা সত্ত্বেও অনেক কষ্ট করেই এবার যেতে হচ্ছে। তার কারণ যত সংখ্যক মানুষ বাসে করে যাওয়ার কথা তার চাইতে অনেক বেশি মানুষকে বাসে তোলা হয়েছে। কলকাতা থেকে উড়িষ্যা দাঁড়িয়ে বাসে করে যাওয়া যেমন কষ্টকর ঠিক তেমনি যারা সিটে বা স্লিপারে যাবেন তাঁদেরও যাত্রা মসৃণ হবে না। কিন্তু একটা সমস্যা হয়েছে সেটা সবাইকে মানিয়ে চলতে হবে।”