আরও পড়ুনঃ চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার গাইডলাইন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের, পরীক্ষার নিয়মে একাধিক পরিবর্তন
বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে বাংলার মোট বকেয়া ৫৩ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের তরফে যে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের সাইক্লোন বুলবুল থেকে ২০২০ সালের আমফান-সহ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিপর্যয় খাতে কেন্দ্রের কাছে বাংলার যে বকেয়া রয়েছে, তার খতিয়ান চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে শাহের মন্ত্রকের জবাব চাওয়া হবে কমিটির পক্ষ থেকে।
advertisement
এদিকে গতকালই কেন্দ্র পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে ১০০ দিনের কাজে বাংলার বরাদ্দ শূন্য। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এমনই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে স্পষ্ট যে ১০০ দিনের কাজে কমবেশি বিভিন্ন রাজ্য পেলেও বাংলা এক পয়সাও পায়নি।
তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে অন্য সব রাজ্যের জন্য ১০০ দিনের কাজে কমবেশি অর্থ বরাদ্দ করা হলেও বাংলার বরাদ্দ শূন্য! কেন্দ্র জানিয়েছে, নতুন অর্থ বছর শুরুর আগেই আগের অর্থবর্ষের সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ২০২৪-২৫ পর্যন্ত সব বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে বাংলা ছাড়া। অর্থাৎ, বাংলার টাকা যে মেটানো হয়নি, সেটা স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নিল কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে, বাংলা বাদে অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সব মিলিয়ে ৬৯ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পেয়েছে।
২০১৯ সালের বুলবুল থেকে ২০২৪ সালের ডানা— পরপর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৩,৬৯৬ কোটি টাকা। সূত্রের মতে, এর মধ্যে বুলবুল ঝড়ে (৬,৫১৮ কোটি) সবথেকে বেশি অর্থ বকেয়া রয়েছে। ওই বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা কবে পাওয়া যাবে, তা স্বরাষ্ট্র কর্তাদের কাছে জানতে চান তৃণমূল সাংসদ।
