আসলে ওই তিন কাঠা প্লটটির আসল মালিক ছিলেন মীরা বিশ্বাস। সরকার থেকে রিফিউজি জমি পেয়েছিলেন তিনি। মীরা বিশ্বাস মারা যাওয়ার পর, ওই জায়গাটির দখল নেয় অনিতা ঘোষ। সেই অনিতা ঘোষ তিনজনকে প্রমোটিং করতে দেয় নিশীথ দত্ত,কমল গায়েন এবং সবিতা চট্টোপাধ্যায়কে। এই প্রোমোটিংয়ের না আছে বৈধ প্ল্যান, না আছে কর্পোরেশনের কোন বৈধ অনুমতি। ওঙ্কার নাথ জয়সওয়াল বিল্ডিং নির্মাণের পেছনে বিনিয়োগ করেছেন। সেই ওঙ্কারনাথ জয়সওয়াল সামনের তিনটি অবৈধ ফ্লোর কিনে নেন। তাতে তিনি বর্তমানে ভাড়াও বসিয়ে দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের সফরের আগেই সাঁইথিয়ার হোটেলে বৈঠক করল কারা? তুমুল চাঞ্চল্য! তোলপাড় বীরভূম
ওঙ্কারনাথের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, তিনি তাঁর প্রোমোটারের সঙ্গে চুক্তি পত্র এবং দখলের চিঠি দেখান। প্রোমোটার নিশীথ দত্ত জানান, অনিতা ঘোষ ২০২১ সালে ওই জমিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী নিজের নামে আলিপুর থেকে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। তবে সেটা কীভাবে হল? উনি জানান, মীরা বিশ্বাসের আত্মীয় নন অনিতা। মীরা বিশ্বাস তাঁকে উইল করে দিয়ে যাননি কিংবা দানপত্র করেননি। তাহলে পেলেন কী করে ওই জমি?
আরও পড়ুন: মমতার নিরাপত্তায় বিরাট পদক্ষেপ পুলিশের! হাজরা-কালীঘাট এলাকায় এবার যা হতে চলেছে…
প্রশ্নের উত্তরে প্রোমোটার নিশীথ বাবু বলেন,যেহেতু মীরা বিশ্বাসকে দেখভাল করতেন অনিতা ঘোষ। তার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। সেই হিসাবে কর্পোরেশন অনিতা ঘোষের নামেই করে দিয়েছে ৬/২৫ ঠিকানার জমিটি।অনিতা ঘোষকে কোথায় ‘লুকিয়ে’ রেখেছে প্রোমোটাররা? সেটা বলতে চাননি তিন জনই। কর্পোরেশন ওই অবৈধ প্রমোটিংয়ের বিরুদ্ধে বাড়িটি ভাঙার আদেশ দিয়েছে। কাউন্সিলর মৌসুমী দাস জানান, কর্পোরেশনের আইনে যা রয়েছে সেটাই হবে। প্রমোটিং সংক্রান্ত ব্যাপারে কাউন্সিলরদের কোন ভূমিকা থাকে না। এছাড়াও তিনি যখন কাউন্সিলর হয়েছেন, ততক্ষণে বিল্ডিংটির ৯০ ভাগের বেশি কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।