শেষ পর্যন্ত তৃণমূল প্রার্থী বাবুল পেয়েছেন ৫০৭২২ ভোট, উল্লেখযোগ্যভাবে সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম পেয়েছেন ৩০৮১৮ ভোট, তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ পেয়েছেন পেয়েছেন মাত্র ১২৯৬৭ ভোট আর কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৫১৯৫ ভোট। যেহেতু বালিগঞ্জে মাত্র ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে, তাই উপনির্বাচনের ফলাফলের চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। ধীরেধীরে ব্যবধান বাড়াচ্ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। শেষমেশ জিতলেন তিনি।
advertisement
বাবুলের কথায়, ''বালিগঞ্জের মতো একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছি আমি। চওড়া হাসি হাসব, সময় আসুক। আমি আরও খুশি আসানসোল নিয়ে। জানতাম শত্রুঘ্ন সিনহা জিতবেন, কিন্তু এত ব্যবধানে জয় বিজেপিকে উচিৎ জবাব দিল। আসানসোল আমার কাছে সবসময় স্পেশ্যাল। আমরা সবাই মিলে কাজ করব।'' জয়ের পরই এদিন স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বালিগঞ্জের ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিজের জন্য চওড়া হাসি হাসবেন, তবে বাবুলের মনে এখনও আসানসোল! যা বললেন...
অপরদিকে, ভাঙলেও মচকালেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপনির্বাচনে হারলেও চব্বিশের লোকসভা নিয়ে অবশ্য আশাবাদী তিনি। বালিগঞ্জের ফল প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ''একুশের নির্বাচনে প্রবল হাওয়ার মধ্যেও বালিগঞ্জে আমাদের ভোট মাত্র ৩০ হাজার, আমাদের জন্য দারুণ সিট কখনই ছিল না বালিগঞ্জ। ওখানে সংখ্যালঘু ভোট ৪২%। যারা আমাদের ভোট দেয় না। তৃণমূল থেকে সরে এখন তাঁরা সিপিএম, কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছে।''
আরও পড়ুন: হারের কারণ 'অঙ্ক'! বালিগঞ্জ ছিলই না, আসানসোল আবার হবে, বলছেন সুকান্ত
যদিও আসানসোল নিয়ে হাল ছাড়তে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, ''আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনিতে ভোট হয়নি। মিডিয়াকে ঢুকতে দেয়নি৷ কুলটি, রাণীগঞ্জে উপনির্বাচনে শাসকের পক্ষে ভোট পড়েছে। কিন্তু এরপরও বলছি ২০২৪-এ আসানসোল আমাদেরই হবে।''