তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন সদানন্দ দাস নামের ওই ব্যাক্তি।
সদানন্দ দাস তাঁর স্ত্রী এবং বছর সাড়ে ছয়ের এক পুত্র নিয়ে থাকতেন বাগুইআটির অশ্বিনী নগরের ফ্ল্যাটে। পেশায় অপথার্মলজিস্ট সদানন্দ বাবুর একটি চশমার দোকান আছে ওই এলাকাতেই। এমনিতে হাসি খুশি মানুষ হলেও, প্রতিবেশীদের দাবি পরিবারে স্ত্রী মহুয়া লায়েক দাসের সঙ্গে ছিল নিত্য কলহ। সদানন্দ দাসের স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়শই লেগে থাকত অশান্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু! চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে বেনজির ঘটনা, কারণ শুনলে চমকে উঠবেন
তার জেরেই কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন পেশায় অপথার্মলজিস্ট সদানন্দ দাস? এ বিষয়ে মৃত সদানন্দ বাবুর এক প্রতিবেশী জানান, শনিবার রাত ন'টার কিছু আগে দেখা হয়েছিল সদানন্দ বাবুর সঙ্গে। এর কিছুক্ষণ পর ফ্ল্যাটে বেশ জোড়ে কিছুর শব্দ পাই, যেন দরজা ভাঙা হচ্ছে। খানিকক্ষণ পর সাড়ে ছয় বছর বয়সী ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে বেড়িয়ে আসে ফ্ল্যাট থেকে। তখনই জানতে পারা যায় এরকম মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: লিভারপুলকে হারিয়ে ফের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় রিয়ালের, ফাইনালে ঘটল অবিশ্বাস্য ঘটনা!
তারপর খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সদানন্দ দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। প্রতিবেশীরা আরও জানান, নিত্য কলহ লেগেই থাকত স্বামী সদানন্দ এবং স্ত্রী মহুয়ার মধ্যে। সেই ঘটনারই এই পরিণতি কি না! সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তাঁরা। তবে তদন্তে নেমে বাগুইআটির থানার পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। রবিবার দেহের ময়না তদন্ত করা হবে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রয়োজনে মৃত সদানন্দ দাসের স্ত্রী মহুয়া লায়েক দাসকেও জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
---ওঙ্কার সরকার