নগরোন্নয়ন মন্ত্রকে থাকার সময় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জট কাটাতে একাধিকবার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রিসভার রদবলের পরেও ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে একইরকম নজরদারি চালালেন তিনি। গঙ্গার নীচে টানেল পৌঁছনর পর প্রকল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাজ দেখতে গঙ্গার নীচে টানেলে ঢোকেন মন্ত্রী। সবার সঙ্গে সেলফিও তুললেন মন্ত্রী। জানলেন টানেল বোরিং মেশিনের কাজ নিয়েও। প্রধানমন্ত্রী ও নিজের জন্য রূপোর কৌটোয় গঙ্গায় মাটি নিয়ে যান।
advertisement
গঙ্গার নীচে কাজ শুরু হয়ে আরেক পাড়ে সুড়ঙ্গ এসে পৌঁছলেও কিছু প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। মহাকরণ এলাকায় কারেন্সি বিল্ডিং ও দু’টি প্রাচীন সৌধ-সহ ৩০ মিটারের মধ্যে দিয়ে ছুটবে মেট্রো। খড়গপুর আইআইটির রিপোর্টকে হাতিয়ার করে হেরিটেজ ভবনগুলির কোনও ক্ষতি হবে না বোলেই আশাবাদী বাবুল। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মাকে রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে।
যদিও কয়েকবছরে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত কাজ করতে একাধিক বাধা এসেছে। বেড়েছে প্রকল্পের খরচও।
পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারের প্রশংসা শোনা যায় বাবুল সুপ্রিয়র মুখে ৷ তিনি জানান, ‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে রাজ্যের তরফে যাবতীয় সাহায্য মিলছে ৷ রাজ্যের সুপারিশ মেনেই প্রকল্পে বদল ৷ মেট্রো রুট ১.৯ কিমি পথ ঘোরানো হয় ৷’
তবে কাজ দেরি হওয়াতে ও বেশ কয়েকবার যাত্রাপথের বদলের জেরে খরচ বেড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের যে সে কথাও এদিন বলেন বাবুল ৷ ৪,৮০০ কোটি থেকে খরচ বেড়ে হয়েছে ৮,৯০০ কোটি ৷ কিন্তু ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হবে কাজ বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ এই প্রকল্পের পথ আর বদলাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷
যত দেরি হবে তত খরচ বাড়বে ৷ তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রেলমন্ত্রকের তরফে ৷