বাবুলের শারীরিক সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও পৌঁছয়। বিধানসভা থেকেই বাবুলের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মমতার কবিতা পাঠ করলেন শুভেন্দু! নামেই 'সম্মান', কবির নামও নিলেন না বিরোধী দলনেতা
উডল্যান্ডস হাসপাতালের পক্ষ থেকে জারি করা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুকে ব্যথা এবং শরীরে অস্বস্তি নিয়ে এ দিন হাসপাতালে আসেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটন মন্ত্রী বাবুল। চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে তাঁকে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
advertisement
বাবুলের ইকো কার্ডিওগ্রাফি রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকলেও তাঁর ইসিজি রিপোর্টে কিছু সমস্যা পাওয়া যায়। দেরি না করে করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অ্যাঞ্জিওগ্রাফিতে বাবুলের হৃদযন্ত্রে সামান্য সমস্যা ধরা পড়ে। তবে সেই সমস্যা ওষুধেই সেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই আজই বাবুলকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার মমতা-শুভেন্দু বৈঠক! আবারও কি ২৫ নভেম্বরের পুনরাবৃত্তি? জোর জল্পনা
চিকিৎসকরা বলছেন, বুকে ব্যথা এবং অস্বাভাবিক ঘাম হওয়ার পরই দেরি না করে হাসপাতালে চলে এসে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন বাবুল। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই ধরনের সমস্যাকে এড়িয়ে যান বহু মানুষ। তার ফলও হয় মারাত্মক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক এবং রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুব্রত সাহা। এই ঘটনার পরই দলীয় নেতাদের শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুকে ব্যথার মতো সমস্যাকে যেভাবে অনেকে উপেক্ষা করেন, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।