সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদন করার সময়ে ববিতা তাঁর স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে লিখেছিলেন। এর ফলে তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর বেশি হয়ে গিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে কদিন আগে নিজেদের ওয়েবসাইটে নথি আপলোড করেছিল এসএসসি। সেখানে দেখা যায়, নথি অনুযায়ী, এসএসসি ববিতাকে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে। মেধাতালিকা ও অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের নথি সন্দেহ হয় ববিতারও। নানা মহল থেকে প্রশ্ন ওঠায় সেই সময়েই তিনি জানান, বিষয়টি আদালতকে জানাবেন তিনি।
advertisement
এ দিন হাইকোর্টে দাখিল করা আবেদনে ববিতা জানিয়েছেন, এসএসসি ভুলবশত তাঁকে অতিরিক্ত ২ নম্বর দিয়েছেন। এ নিয়ে এসএসসির তরফে ব্যাখ্যাও চেয়েছেন ববিতা।
আরও পড়ুন - Joka Metro: ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়েই যাত্রা শুরু জোকা মেট্রোর
ববিতার আবেদন শোনার পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মন্তব্য, "মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসি আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা একবারের জন্যেও এই তথ্য আদালতে দেননি। এসএসসি-সহ সবপক্ষকে বিষয়টি অবগত করানো হোক। বুধবার শুনানি হবে ববিতা সরকারের।"
এ প্রসঙ্গে ববিতার আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস সামিম জানান, নম্বর বেশি থাকার বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে নিয়ে আসা হয়েছে। ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক স্কোর সম্ভবত এসএসসি বেশি দিয়ে থাকতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে মেধাতালিকার বদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন - যাত্রী নিয়ে আজ দৌড় শুরু জোকা-তারাতলা মেট্রোর
তবে, এরপরেও ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস সামিম দাবি করেন, "এসএসসি নিয়ম অনুযায়ী নম্বর বণ্টন হলে আমার মক্কেলের নম্বর আরও বাড়বে। আমরা মেধাতালিকার পুনর্বিন্যাসের আবেদন রাখব আদালতের কাছে।"
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ববিতার আবেদনপত্রের একটি ছবি। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। সেই ছবি অনুযায়ী, আবেদনের সময় স্নাতকস্তরের নম্বর ৬০ শতাংশের বেশি দেখানো হয়েছে। কিন্তু, ববিতা আদতে পেয়েছিলেন ৫৫ শতাংশ নম্বর।
এরপরেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি তোলেন, এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, সে ক্ষেত্রে ববিতার 'অ্যাকাডেমিক স্কোর' ৩৩-থেকে কমে ৩১ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে, তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন ববিতা।