এখনও আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় কামতাপুরী ভাষায় আরও বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি হলে সেখানকার ভূমিপুত্র ও ছাত্রছাত্রীরা কামতাপুরী ও রাজবংশী ভাষায় প্রাথমিক পাঠদানের সুযোগ পাবে। সুমনের এই প্রশ্নের জবােব ব্রাত্য জানান, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি কামতাপুরী ভাষাকে বা রাজবংশী ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং এই কামতাপুরী, রাজবংশী-সহ বিভিন্ন জাতি-জনজাতির ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য সদা তৎপর আছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে কি খেলবেন রোহিত-কোহলি? অবসর নিয়ে বোর্ডের বিরাট পরিকল্পনা ফাঁস
আগামী দিনে বিভিন্নভাবে এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আরও বেশি সংখ্যক কামতাপুরী ভাষায় প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।কামতাপুরী ভাষার স্কুল চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে নেমেছিলেন রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষেরা৷ রাজ্য সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে একাধিক কামতাপুরী স্কুল খুলেছে।২০২৪ সালে উত্তরবঙ্গে এসে রাজবংশী ভাষার একাধিক রাজবংশী ভাষার প্রাথমিক স্কুল উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একাধিক বার বলেছেন, “পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে কোচবিহার জেলায়। রাজবংশী, কামতাপুরী, কুরুক ভাষাকে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ড, নস্যশেখ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি জলপাইগুড়ি সদরে তৈরি হয়েছে। রাজবংশী সংস্কৃতি প্রসারের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজবংশী কালচারাল অ্যাকাডেমি হচ্ছে।’’ উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে সেই স্কুলগুলির কোনওটি ২০১৩ সাল কোনওটি ২০১৪ সাল থেকে চলছে। এত দিন বেসরকারি হাতে ছিল স্কুলগুলি। একাধিক স্কুল রাজ্য সরকার হাতে নিয়েছে।