গত মাসে ৩ এবং ৪ জুলাই পরপর দু’দিন এই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে ৷ শুনানির সময় ডিভিশন বেঞ্চের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী এবং কমিশন সচিব ৷ সেই সময় রাজ্যের তরফ থেকেও জানানো হয়, আগামী ৭ অগাস্ট পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে ৷ এদিকে মামলার জটে নতুন বোর্ড কাজ শুরু করতে পারেনি।
advertisement
এদিকে যারা প্রশাসকের ভূমিকায় রয়েছেন ৷ তারা কি আদৌ থাকবেন ভবিষ্যতেও প্রশাসক ? সেই নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে ৷ তাই নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করা থেকেও বিরত থাকছেন তারা ৷ যার জেরে উন্নয়ন থমকে যাচ্ছে ৷ তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা ৷ আপাতত যাতে উন্নয়নেক কাজ থমকে না যায় ৷ সেই কারণে পঞ্চায়েতগুলিতে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ৷
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা রাজ্যের পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৯২১৭টি আসনের মধ্যেও বিনাযুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ৩০৫৯টি ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৪৮,৬৫০টি আসনের মধ্যে ১৬,৮১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী শাসক দল। এছাড়া জেলা পরিষদের মোট ৮২৫টি আসনের মধ্যে ২০৩টি আসনে জিতেছে শাসকেরা। পঞ্চায়েতের ১৬ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় কি আদৌ স্বাভাবিক ? কমিশনের আইনজীবীর কাছে এমন প্রশ্নই করে আদালত ৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সওয়ালে সন্তুষ্ট হয়নি সর্বোচ্চ আদালত ৷ যার জেরে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি ৷