দুর্গাপুজোর পর বিধানসভা ধরে চলছিল বিজয়া সম্মিলনী , সেই সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজের বিধানসভার অনুষ্ঠানেই থাকতে পারেননি অরূপ রায় | সামনে পঞ্চায়েত ভোট ও হাওড়া পুরসভার ভোটের সম্ভবনা, তাই কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে দলীয় কর্মীদের, তা নিয়েই চলছিল মধ্য হওয়ার কর্মিসভা | সভায় প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যার থেকেও অনেক বেশি কর্মী জমায়েতের ফলে অনেকেই বসেছিল প্রেক্ষাগৃহের চেয়ারের নীচে, ভূমিতে |
advertisement
মঞ্চে নিজের বক্তব্য পেশের পর অন্য নেতা কর্মীদের বক্তব্য রাখার পালা, কর্মীদের দাবিদাওয়া সব কিছু মঞ্চে বসে না শুনেই সটান নেমে এসে, মঞ্চের নীচে বসে পড়লেন চেয়ারে বসার সুযোগ না পাওয়া কর্মীদের পাশেই বসে পড়লেন অরূপবাবু | অনেকেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেও এক ধমকেই বসিয়ে দিলেন তিনি | অনুষ্ঠান শেষে ওখানেই বসেই কর্মীদের সঙ্গে ছবিও তুললেন |
আরও পড়ুন : আজ থেকে চার দিনের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাবেন রাজস্থানের আজমের শরীফ ও পুষ্করেও
এর আগে হাওড়ার এক তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রীকে বহুবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করেই অরূপকে কর্মী বিদ্বেষী বলে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল | সেই নেতার তোলা অভিযোগকে মিথ্যে প্রমাণ করতেই কি এমন কাজ ? প্রশ্নের উত্তরে অরূপের দাবি, তিনি সবসময়ই কর্মীদের ভালমন্দের সঙ্গী | " বাড়িতেও সকাল বিকেল কর্মীদের অবাধ বিচরণের অনুমতি রয়েছে , মিটিং মিছিলে কর্মীদের সঙ্গেই পথ চলতে ভালবাসি | কারওর কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে আমাকে মাটিতে বসতে হয় না" , দাবি অরূপ বাবুর |
আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪! শুরু হচ্ছে বিজেপির দুদিনের মন্থন বৈঠক, ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
তিনি আরও বলেন " কর্মীরা আমার বিরুদ্ধে কোনওদিন কোনও অভিযোগ করেননি | যে দিন কর্মীরা আমার প্রতি বিরূপ হবেন সেদিন আমি আর মন্ত্রী থাকব না | কর্মীদের নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দল করেছি | যতদিন বাঁচব তত দিন কর্মীরাই আমার শক্তি |" অন্য দিকে কর্মীদের দাবি, " অরূপবাবু সবসময় আমাদের ভরসা ভালবাসা | তাই অরূপদা আজ আমাদের পাশে একসঙ্গে মাটিতে বসে সন্মান বাড়িয়ে দিলেন |"