গাড়ির মালকিনের জন্য এলাহি খাবার আসতো শহরের নামজাদা রেস্তোরাঁগুলি থেকে। ম্যাডামের গুডবুকে উঠতে পারলে যে দাদার কাছেও নম্বর বাড়বে! তাই ম্যাডামকে খুশি করার চেষ্টায় কসুর থাকত না। দিন কয়েক আগেও ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসের বাইরে এই ছবি দেখা যেত আখছার, প্রায়শই। রাত বাড়লে শহর ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন যুগলে।
advertisement
কোনওদিন ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে কোলাঘাটের দিকে। কোনওদিন আবার হাইওয়ে ধরে সোজা ডায়মন্ডে। রাতের নিঝুম কলকাতায় রাজপথ চিরে ঝড় তুলে দৌড়ত বিলাসবহুল গাড়ি।
কোলাঘাটের নামী হোটেলের সামনে থমকে দাঁড়াতো বিলাসবহুল চার চাকা। গাড়ির ভেতরে বসেই এলাহি খাবারের আয়োজনে নৈশভোজ সারত যুগল। এইভাবেই বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে কলকাতা ফিরতে ফিরতে মধ্যরাত পেরিয়ে ঘড়ির কাঁটা পৌঁছে যেত ২.৩০ / ৩টে।
মাঝেমধ্যে তাল যে কাটতো না, তা অবশ্য নয়! ডায়মন্ড হারবারেই একবার এই রকম নৈশভ্রমণে গিয়ে উজির, জাহাঙ্গীরদের রোষে পড়তে হয়েছিল। সেই যাত্রায় রক্ষা মিলেছিল অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে। শোনা যায়, এই ঘটনার পর থেকেই দক্ষিণের সেই উজির, জাহাঙ্গীরদের সঙ্গে সম্পর্কে টোল পড়েছিল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী মশাইয়ের। তবে আজ সেই সব কথা থাক! সে না হয় অন্য আরেক দিন হবে!
PARADIP GHOSH