প্রসঙ্গত, এর আগে আদালতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলের প্রাণ সংশয় রয়েছে। ইডি হেফাজতে তাঁকে যা খাবার এবং জল খেতে দেওয়া হবে, তা যেন পরীক্ষা করে তবেই দেওয়া হয়। এমনকী জেলেও অর্পিতার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে অনুরোধ করেছিলেন আইনজীবী। অর্পিতার আইনজীবীরা আদালতের কাছে আবেদন করেন অর্পিতাকে যাতে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপিকে কড়া বার্তা সন্তোষের! অনুপস্থিত কেন এত নেতা, গেরুয়া শিবিরে প্রবল গুঞ্জন
এছাড়া আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জেলে অর্পিতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদনও করা হয়। অর্পিতার আইনজীবীরা আদালতে আগেই জানিয়েছেন, জেলের ভিতর অর্পিতার প্রাণনাশের ভয় রয়েছে। অর্পিতাকে দেওয়া খাবার এবং জল যাতে পরীক্ষা করা হয় তার আবেদনও তারা করেন। প্রসঙ্গত অর্পিতার সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার কথা জেরার মুখে অস্বীকার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে আদালতে ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পার্থ এবং অর্পিতার বাড়ি থেকে তারা একাধিক নথি পেয়েছে যেখান থেকে তারা দুজনের একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০১৪ ও ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, মিলতে শুরু করল আন্দোলনের ফল
এদিকে, ভার্চুয়াল শুনানির বদলে আদালতে হাজির হয়ে শুনানিতে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ এবং অর্পিতার আইনজীবী। পার্থ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে এ-ও জানিয়েছিলেন যে, আদালতে সশরীরে হাজির হওয়া তাঁর মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তা থেকে যেন তাঁকে বঞ্চিত না করা হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশে দেখা গেল পার্থ এবং অর্পিতা দু’জনকেই ভার্চুয়াল শুনানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ জেলের বাইরে বেরোনোর ইচ্ছে পূরণ হল না পার্থ-অর্পিতার। একইসঙ্গে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।