ধর্মীয় মিছিলে দুই বিরোধী নেতার হাঁটা রীতিমতো সাড়া ফেলেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও অর্জুন এবং সোমনাথ দু’জনেরই দাবি, এই পদযাত্রা দুজনের একইসঙ্গে হাঁটা আগে থেকে নির্ধারিত ছিল না। প্রসঙ্গত, কাঁকিনাড়ায় ‘শ্রী শ্রী ফক্কড়নাথ শিব মন্দির’-এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বুধবার কলসযাত্রার আয়োজন করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই মিছিলেই হাঁটলেন অর্জুন সিং এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘা যাচ্ছেন? আপাতত সমুদ্রে নামা বারণ, পর্যটকরা তাই ছুটছেন এই পরিচিত বিচে!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লিতে বৈঠক শেষ হওয়ার পর অর্জুন সিং বলেছিলেন, ''আমার কাছে যা খবর আছে মিটিংটা পজিটিভ হয়েছে। রাজ্যের তরফে যিনি গিয়েছিলেন তার ভূমিকা পজিটিভ ছিল। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল সেটা নিয়ে পজেটিভ আলোচনা হয়েছে। সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। পীযূষ গোয়েল মহাশয় সঙ্গে সেক্রেটারি দেখা করবেন তখন আমি থাকব সেখানে। এই সূচনাটা আমার কাছে এসেছে। আমার মনে হয়েছে আলোচনা পজিটিভ দিকে গিয়েছে। সুরাহার জন্য অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। যেটা একদম নেগেটিভ ছিল সেটা পজেটিভ হতে চলেছে।''
আরও পড়ুন: ২০২৪-এ একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোট? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে আরও বাড়ল ধোঁয়াশা
অর্জুন সিং আরও বলেছিলেন, ''আমি ২৪ ঘন্টা রেডি আছি, আমায় যখন ডাকবে তখনই আমি যাব।'' যদিও এই বৈঠকে ডাক না পাওয়া নিয়ে অর্জুন সিং ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘উপর থেকে নির্দেশ আছে বলেই আমায় ডাকা হয়নি। বৈঠকের পর যা বলার বলব। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম, এখনও উত্তর পাইনি। পাট শিল্পের এই অবস্থার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু কোনও ভাবেই দায় এড়াতে পারে না।’ রাজ্যের পাট শিল্পের অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রে নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার মন্তব্য করছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এ বিষয়ে দিল্লিতে তলব করা হলে তিনি প্রথমে বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন, তারপরে মন্ত্রকের সবিচের সঙ্গেও বৈঠক করেন। কিন্তু এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে একসঙ্গে অর্জুন সিংয়ের পথ হাঁটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।