বিভিন্ন জনকে হুমকি চিঠি পাঠিয়ে ভয় দেখানোতেই আনন্দ পেতেন অরিন্দম সেন, ধৃতকে জেরা করে অনুমান গোয়েন্দাদের। জয়েন্টও খুব ভাল রেজাল্ট করেছিল অরিন্দম। সারা ক্ষণ ঘেরাটোপে থাকার ফলেই কি এমন আচরণ ? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের। এমনকি অভিযোগ, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক জুলি ভট্টাচাৰ্যকেও অরিন্দম চিঠি পাঠিয়েছিলেন ভয় দেখানোর জন্য। বেশিরভাগ চিঠি ‘গৌরহরি মিশ্র’ নাম করে পাঠানোয় প্রত্যেকে চিঠি রাজাবাজারে সায়েন্স কলেজে এসে জমা দিতেন ।
advertisement
আরও পড়ুন : বাঘাযতীন দুর্ঘটনার পরও ফেরেনি হুঁশ, পারমিটহীন বাস কলকাতার রাজপথে
বাকি আরও যাঁদের নাম করে চিঠি পাঠাতেন অরিন্দম, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, কেন তাদের নাম ব্যবহার করেছেন? এর পিছনে কি কোনও পুরোনো ঝামেলা ছিল?
আরও পড়ুন : করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনার জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার
অনুমান, প্রতিহিংসার জন্যই গৌরের নামে হুমকি চিঠি পোস্ট করেছিলেন তিনি। সহকর্মী চিকিৎসক জুলি ভট্টাচাৰ্যকে হুমকি চিঠির পিছনে এমনই কোনও পুরনো কারণ লুকিয়ে আছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। মনে করা হচ্ছে, মহিলাদের থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেই বেজায় চটে যেতেন অরিন্দম। হুমকি চিঠি দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন অরিন্দম, তেমনটাই অনুমান গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন : কৃত্রিম ঘাটে ছট পুজোর রীতি পালন, মাস্ক পরা ভক্ত খুঁজতে হল দূরবীন দিয়ে! কোথায় শারীরিক দূরত্ব?
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃত টাইপিস্ট বিজয় জেরায় জানান, টাইপের জন্য প্রতি কপি ৫০ টাকা করে নিলেও হুমকি চিঠির জন্য তিনি প্রতি চিঠি ১০০ টাকা নিতেন অরিন্দমের থেকে। গোয়েন্দাদের কাছে রাতে কোল্ড ড্রিঙ্কস ছাড়াও রসগোল্লা খেতে চান অরিন্দম । কারণ এগুলো না খেঁলে তার ঘুম আসে না। ফলে অরিন্দম সেনকে সামলানো গোয়েন্দাদের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।