যদিও অনুব্রত আইনজীবী বিবেক তানখা পাল্টা বলেন, ''বিভিন্ন সময় নোটিস পাঠানো হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল নিজাম প্যালেসে গড়হাজিরার কারণ দেখিয়ে তার জবাব দিয়েছেন। তিনি হাজিরার জায়গা পরিবর্তন চাই। তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের কারণ দেখিয়ে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছেন।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার নোটিসে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। তাই কোনও কিছু করতে পারেনি। তাই দ্বিতীয় নোটিস দিয়েছে। এবার আরও একটি অভিযোগ । এইভাবেই সিবিআই নিজেদের প্রভাব খাটাচ্ছে।
advertisement
এটা কি তদন্ত না তদন্তের নামে হেনস্থা করা? আমি তো সাক্ষী গরুপাচার মামলায়। কোনও মূল অভিযুক্ত নয়। তাহলে আমি যখন ২০০ কিমি দূরে না গিয়ে বাড়ির কাছাকাছি হাজিরার জায়গা নির্ধারণ করতে বলছি, সেখানে সিবিআইয়ের আপত্তি কেন থাকবে? ১৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় নোটিস দিয়েছে সিবিআই। আমি ২১ ফেব্রুয়ারি তার উত্তরও দিয়েছি। এইভাবেই একটার পর একটা কেস দিয়ে আমায় টানাহেঁচড়া করছে এবং নোটিস দিচ্ছে যার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
বিবেক আরও বলেন, ''আমার মক্কেলের স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার রক্ষা নাও হতে পারে সিবিআই এর সিআরপিসি ১৬০ ধারার নোটিসের প্রেক্ষিতে। আমার(পড়তে হবে অনুব্রত মণ্ডলের) রক্ষাকবচ দরকার। আমি নিরাপদে নেই। সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার খর্ব হতে পারে সিবিআই নোটিশে।''
আরও পড়ুন: 'কারও কাছে কোনও খবর থাকলে পুলিশকে জানান'! জাগো বাংলা'য় কেন এমন লিখল তৃণমূল?
পাল্টা CBI-এর আইনজীবী এম বি রাজু আদালতে বলেন, ''ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারার নোটিস সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়ার অঙ্গ। এটা সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নির্দেশিকায় বারবার আইনি মান্যতা পেয়েছে।
আবেদনকারীর যদি কোনও ভয় থাকে উনি আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারতেন। এই রক্ষা কবচের আবেদন কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বারবার তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়াছেন। তিনি স্বাস্থ্যের কথা বলছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করছেন। তাঁর ছবি ও নথি আদালতে জমা করলাম। দেখুন মাস্কের ব্যবহার উনি করেননি। আর বলছেন অসুস্থ! তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও এই ছবি ছিল। উনি কলকাতার দলীয় সভাতেও যোগ দিয়েছেন। আর উনি স্বাস্থ্য আর করোনা নিয়ে যে যুক্তি দিচ্ছেন, সেটা সঠিক নয়।''
আরও পড়ুন: আনিস খানের মৃত্যু তদন্তে আর এক মাস সময়! গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের!
CBI-এর আইনজীবীর আরও সংযোজন, ''অনুব্রত মণ্ডলকে যতবার নোটিস দেওয়া হয়েছে, সে ততবারই চিঠি দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলকে এসএসকেএম মেডিকেল বোর্ড এই বলে সম্বোধন করছে যে, অনারেবল অনুব্রত মণ্ডল। উনি কি মন্ত্রী! উনি কি সাংসদ! যে মেডিক্যাল বোর্ড তাকে অনারেবল বলে পরিচয় দিচ্ছেন!
কতটা প্রভাবশালী হলে এমন কথা সরকারি চিকিৎসকরা লেখেন।
আর না হলে এই বোর্ডটাই লোক দেখানো। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে নিজামের দূরত্ব ৩০০ মিটার। এসএসকেএম আসতে পারছেন তাহলে সিবিআই অফিস নিজামে কেন আসতে পারবেন না।'' দুপক্ষের শুনানি শেষ হলেও এখনও রায়দান করেনি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে এখনও দুশ্চিন্তা কাটল না অনুব্রত মণ্ডলের।