তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, ''কিছু দিন হয়েছে মা মারা গিয়েছে, বাবা জেলেও। মেয়েটিকে গ্রেফতার না করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গেলে বিষয়টি মানবিক হত।'' যদিও পাল্টা আসরে নেমেছে বিজেপিও। অনুব্রত-কন্যার গ্রেফতারির পর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় জনসমক্ষে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
advertisement
ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার অনুব্রত ও সুকন্যাকে। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে নথি এসেছে, তার ভিত্তিতে তৃণমূল নেতা ও তাঁর মেয়েকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। কোথা থেকে অনুব্রত ও সুকন্যার এত সম্পত্তি এল, সে বিষয়ে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: 'এটা কী বলুন তো..', সুকন্যাকে জিজ্ঞেস করে ইডি! উত্তর না মেলাতেই সঙ্গেসঙ্গে গ্রেফতার!
গরু পাচার মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে সুকন্যা মণ্ডলের বার্ষিক আয় চোখে পড়ার মতো। এমনকি করোনাকালে যখন মানুষ রোজগার হারিয়েছিল, সেই সময়ও তার বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি টাকা। সিবিআইয়ের তরফ থেকে ৩৫ পাতার যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতেই সুকন্যা মন্ডলের সম্পত্তি বৃদ্ধির গ্রাফ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডে বিরাট মোড়, বিকাশ মিশ্রকে হেফাজতে পেল না সিবিআই! কী এমন ঘটল?
২০১২-১৩ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তির পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। পেশায় শিক্ষিকার সেই সময় বার্ষিক আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। পরের বছর তা বেড়ে হয় ৮ লক্ষ টাকা এবং ঠিক তার পরের বছর বেড়ে দাঁড়ায় ১০ লক্ষ টাকা। এই পর্যন্ত আয় কিছুটা হলেও স্বাভাবিক মনে হলেও পরের বছর লাফিয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যায় সুকন্যা মণ্ডলের বার্ষিক আয়। ২০১৫-১৬ আর্থিক বর্ষে সুকন্যা মন্ডলের বার্ষিক আয় লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকায়। পরবর্তী আর্থিক বছরে বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল আরও ২ লক্ষ টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে সুকন্যা মন্ডলের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকায়। ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকায়। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে বার্ষিক আয় কিছুটা হলেও কমে এবং তা দাঁড়ায় ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকায়।