এদিন জামিন পেতে শুনানি চলাকালীন অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেন, দরকার হলে তাঁর মক্কেল নিজাম প্যালেসের পাশের বাড়িতে থাকবেন। বীরভূমের ধারেকাছেও যাবেন না। আর অনুব্রতর আইনজীবীর মন্তব্য শুনে বিচারক বলেন, ''আবার বাড়ি!', বিচারকের এই প্রতিক্রিয়ায় হাসির রোল ওঠে আদালতে কক্ষে। অনুব্রতর আইনজীবীর অবশ্য আবেদন গ্রাহ্য হল না আদালতে। শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিলেন বিচারপতি।
advertisement
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ১০০০ কর্মীর ইস্তফার হুমকি, বিপদের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল!
এদিন অনুব্রত মণ্ডলের জন্য আদালত কক্ষেই রাখা ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার নেবুনাইজার। তবে সেগুলির প্রয়োজন পড়েনি। অনুব্রতর আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এদিন আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের জন্য অক্সিজেন ও ইনহেলার-এর প্রয়োজন হতে পারে। সেই দাবি মেনে বিচারক ইনহেলার নিয়ে আসার অনুমতি দেন। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী একের পর এক সওয়াল করেন।
আরও পড়ুন: নজরে অনুব্রতর 'শরীর', গাড়িতে বড় চমক! সিবিআই-এর বিশেষ 'ব্যবস্থা' নিয়ে শোরগোল
অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য, সিবিআই কেন্দ্রের নির্দেশে টার্গেটেড ইনভেস্টিগেশন করছে। এক্ষেত্রে তাঁর মক্কেলকে টার্গেট করছে সিবিআই। বাংলার সরকারকে টার্গেট করে বদনাম দিতেই সিবিআইকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। এমনও অভিযোগ করেন তিনি। সিবিআই শুধুমাত্র ভোটের আগেই তদন্তে নামে। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা দলের নেতাদের টার্গেট করে জেলে পাঠানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের।
যদিও সিবিআই-এর আইনজীবী পাল্টা বলেন, তদন্ত অগ্রগতির জন্য এখন অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিলে অসুবিধা হবে। বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নাম এসেছে। অনুব্রতর আত্মীয় ও কাছের লোকদের প্রচুর সম্পত্তি। এই অবস্থায় তিনি বেরোলে তদন্ততে প্রভাব পড়বে। উনি প্রভাবশালী। অসহযোগিতা করছেন।'' সওয়াল জবাবের শেষ অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।