অনুব্রত ইডির কাছে দাবি করেন, ‘‘মণীশ আমাকে বলে ব্যবসায় কোনটা করা দরকার আর কোনটা উচিত নয়। আমার সব ব্যবসায় মণিশ আমাকে সাহায্য করত।’’ মণিশকে সিএ হিসাবে নয়, পরিবারের সদস্য হিসাবেই দেখতেন অনুব্রত। ব্যবসায় ট্যাক্স রিটার্ন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সব কাজ দেখতেন মণীশ।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভবিষ্যতের জন্য পথ প্রশস্ত, ৯ বছরে ৩৭,০১১ রুট কিলোমিটার বৈদ্যুতিকীকরণ
advertisement
আরও পড়ুন: আমফানের সঙ্গে কতটা মিল, ২০২০-র মতোই কি ভয়ানক হবে মোকা? কী বলছেন আবহাওয়াবিদ
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে ‘নিজের ছেলের মতো’ দেখতেন অনুব্রত। অনুব্রতর স্ত্রী এসব কোনও ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত ছিলেন না, অনুব্রত বয়ান ইডির চার্জেশিটে উল্লেখ। অনুব্রতর দু’টি ফোন সায়গলের কাছে থাকত। সায়গলের ফোনেও কথা বলতেন। সায়গললে খুব ঘনিষ্ঠ ও পরিবারের মতো মনে করতেন। বীরভূমে ইলামবাজার, সাঁইথিয়া, মুরারি ২, লোহাপুর হল গরু পাচারের মূল হাট, অনুব্রত ইডির বয়ানে দাবি করেন।
পাশাপাশি ইডির চার্জেশিটে সুকন্যা মণ্ডলের চঞ্চল্যকর বয়ান রয়েছে। সুকন্যা ইডিকে জানান ‘‘ভোলে বোম রাইস মিলের ডিরেক্টর বা ম্যানেজারকে আমি চিনি না। বাবা বলতে পারবেন।’’ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ জমা রয়েছে কেন সেই বিষয়ে সুকন্যা জানান তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি ওই টাকা জমাননি। এমনকি চেকে সই করলেও তিনি জানতেন না কিছু। সব জানতেন তাঁর বাবা। সুকন্যার চঞ্চল্যকর দাবি ইডির চার্জেশিটে।
গরু পাচারে প্রটেকশন মানি কীভাবে বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যবহার, আইটি রিটার্ন অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সব কিছু দেখতেন মণীশ কোঠারি, দাবি ইডির।