নয়াদিল্লি: রেলপথ বৈদ্যুতিকীকরণ পরিবহণের একটি স্থায়ী ও ফলপ্রসূ পদ্ধতি প্রদান করে, যা পরিবেশ দূষণ ও ফসিল ফুয়েলের নির্ভরতা থেকে মুক্ত। ভারতের স্বাধীনতা ও ২০১৪ সালের মধ্যে শুধুমাত্র ২১,৪১৩ রুট কিলোমিটার (আরকেএম) রেলওয়ে ট্র্যাক বৈদ্যুতিকীকরণ করা হয়েছিল।
যদিও, বিগত ৯ বছরে ভারতে বৈদ্যুতিকীকরণের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি লাভ করে এবং কেবল বিগত ৯ বছরের মধ্যে ৩৭,০১১ রুট কিলোমিটার (আরকেএম) ট্র্যাক বৈদ্যুতিকীকরণ করে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়েছে। বিগত ৯ বছরে এটি ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি। মোট ৫৮,৪২৪ আরকেএম বৈদ্যুতিকীকরণ করা হয়েছে, যার ৯০ শতাংশই ভারতীয় রেলওয়ের অংশ।
আরও পড়ুন: আমফানের সঙ্গে কতটা মিল, ২০২০-র মতোই কি ভয়ানক হবে মোকা? কী বলছেন আবহাওয়াবিদ
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১৫০ কিমি হতে পারে! সাইক্লোন মোকা বাংলাদেশে কী রকম প্রভাব ফেলতে পারে জানুন
এটি একটা অসাধারণ কৃতিত্ব যে মোট রুট কিলোমিটার বৈদ্যুতিকীকরণের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই বিগত পাঁচ বছরে সম্পূর্ণ হয়েছে। ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে ২০৩০-এর মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমন-সহ বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্রিন রেলওয়ে হয়ে ওঠার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪টি রাজ্য/ইউটি-তে সম্পূর্ণ ১০০ শতাংশ রেলওয়ে বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জন করা হয়েছে যা উচ্চ অভিলাষী লক্ষ্য অর্জনের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
ভারতীয় রেলওয়ের ২০৩০-এর মধ্যে নেট জিরো কার্বন এমিটার-সহ বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্রিন রেলওয়ে হয়ে ওঠার লক্ষ্য অর্জনের জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েও জোর গতিতে এগিয়ে চলেছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অধীনে ২০১৪-২০২৩ সময়ের মধ্যে ১৬৬১.৮৩ আরকেএম রেলওয়ে ট্র্যাক বৈদ্যুতিকীকরণ করা হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই অবশিষ্ট অংশ বৈদ্যুতিকীকরণ করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে উত্তরপূর্ব ভারতে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Indian Railways