গত বৃহস্পতিবারই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি৷ সূত্রের খবর, ইডি-র চার্জশিটে নাম রয়েছে সুকন্যা মণ্ডল এবং কেষ্টর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিরও৷ সেই চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, অনুব্রত মণ্ডলের ও তাঁর নিকট আত্মীয়দের নামে মোট ২৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে মাত্র ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রতর নিজের নামে। অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ছিল একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। স্ত্রী ছবি ও অনুব্রতর জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল একটি। স্ত্রী ও মেয়ে সুকন্যার নামেও ছিল একটি জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে ছিল সাত-সাতটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
advertisement
এছাড়া Anm agro ফুড pvt limited নামে একটি, ভোলে বোম রাইস মিলের নামে দুটি ব্যাংক একাউন্ট, শিব শম্ভু রাইস মিলের নামে দুটি অ্যাকাউন্ট। এছাড়াও, কালী মাতা ট্রেডার্স একটি, মা দূর্গা ট্রেডাস একটি , নীর ডেভেলপার প্রাইভেট limited এর নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ইডির চার্জেশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, এমন ২৪টি অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১২ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৩৭ টাকার হদিস মিলেছে।
এছাড়াও, অনুব্রত মণ্ডল বেনামে পরিচারক বিজয় রাজক ও বোলপুরে তৃণমূল স্থানীয় নেতার নামেও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে সায়গল হোসেনের কথাতেই অনুব্রতর পার্সোনাল সিকিওরিটি অফিসার এবং স্থানীয় বোলপুরে tmc কর্মীদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হত বলে অভিযোগ।
ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, বেনামে যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত টাকা ঘোরানো হতো, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজয় রজোক, তাপস মণ্ডল, অর্ক দত্ত, শ্যামাপদ কর্মকার, আশিস মণ্ডল, সঞ্জিত কুমার রায়, শঙ্করী প্রসাদ গাঙ্গুলি, শান্তনু সেন, ওমর শেখ। বিদ্যুৎ বরণ গায়েন ও বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এঁদের নামে বেনামি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।
ইডির দাবি, এঁরা নিজেদের নথি ও ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করতেন অনুব্রত মণ্ডলেরই নির্দেশে৷ গোটা বিষয়টি দেখাশোনা করতেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী তথা গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত সায়গল হোসেন৷ কোনখানে কত টাকা জমা হচ্ছে ও কত তোলা হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের। অনুব্রতর নামে ও বেনামে এতো গুলো অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা গরু পাচারে হাত বদলে এসেছে বলে দাবি ইডির।
ARPITA HAZRA